বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমশ বাড়ছে অস্থিরতা। ইরান-ইজরায়েল সংঘাতে এবার তৃতীয় শক্তি হিসেবে ঢুকে পড়েছে আমেরিকাও। সদ্য আমেরিকার তরফে ইরানের তিনটি পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্র গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। যে খবর ইতিমধ্যেই নিশ্চিত করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইরান শান্তির পথে না এলে ভবিষ্যতে আরও বড় প্রাণঘাতী হামলা চালাবে আমেরিকা, সে কোথাও শুনিয়ে দিয়েছেন রিপাবলিকান নেতা।
তবে এসবের মাঝেই, গোটা বিশ্বে তেলের মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বিরাট কীর্তি গড়ল ভারত (India)। সদ্য প্রকাশিত বেশ কয়েকটি রিপোর্ট অনুযায়ী, চলতি মাসে মধ্যপ্রাচ্যের একাধিক বড় দেশকে পেছনে ফেলে রাশিয়া থেকে রেকর্ড পরিমাণ তেল কিনেছে দিল্লি। যা সৌদি আরব এবং ইরাকের মতো দেশ থেকে পাওয়া তেলের পরিমাণের থেকেও কয়েক গুণ বেশি।
রাশিয়া থেকে বিপুল তেল আমদানি ভারতের
গোটা বিশ্বে বাণিজ্য সংক্রান্ত তথ্য পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা কেপ্লারের তথ্য অনুযায়ী, চলতি জুন মাসে মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতাকে পাশে রেখে রাশিয়া থেকে প্রতিদিন অন্তত 20 থেকে 22 লক্ষ ব্যারেল তেল আমদানি করেছে ভারত। পুরনো পরিসংখ্যান ঘেঁটে জানা গেল, চলতি মাসে ভারত রাশিয়া থেকে যে তেল আমদানি করেছে তা গত দুই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।।
বলে রাখি, গত মে মাসে মস্কো থেকে দিল্লির তেল আমদানির পরিমাণটা ছিল প্রতিদিন 19.6 লক্ষ ব্যারেল। তবে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয়, শুধুমাত্র জুন মাসে ভারত বন্ধু রাশিয়ার কাছ থেকে যে পরিমাণ তেল কিনেছে তা ইরাক, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও কুয়েতের মতো দেশ থেকে মোট প্রাপ্ত তেলের পরিমাণকেও হার মানাবে।
আমেরিকা থেকেও তেল আমদানি বাড়িয়েছে ভারত
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বন্ধু দেশ রাশিয়ার পাশাপাশি আমেরিকা থেকেও চলতি মাসে তেল আমদানি অনেকটাই বাড়িয়েছে ভারত। বলা বাহুল্য, গত মে মাসে যেখানে ট্রাম্পের দেশ থেকে প্রতিদিন 2.80 লক্ষ ব্যারেল তেল আমদানি করা হয়েছিল, সেই তুলনায় চলতি মাসে প্রতিদিনের হিসেবে ভারতে তেল এসেছে 4.39 লক্ষ ব্যারেল। অর্থাৎ মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতা বাড়তেই রাশিয়ার সাথে সাথে আমেরিকাকেও বাণিজ্যের রাস্তা দেখিয়েছে দিল্লি।
অবশ্যই পড়ুন: ডুরান্ড কাপে খেলতে পারবে না ৬টি ISL দল, অভিশাপ লেগেছে ভারতীয় ফুটবলে!
তেলের জন্য সমস্যায় পড়তে হবে না ভারতকে!
ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধের সময়কালে দাঁড়িয়ে ভারতের বেশ কয়েকজন বিশেষজ্ঞ দাবি করছেন, বর্তমানে ভারত যে স্মার্ট তেল আমদানি নীতি নিয়ে এগোচ্ছে তাতে ইরান, ইজরায়েল, ইরাক, সৌদি আরব ও কুয়েতের মতো দেশ থেকে তেল আমদানি করতে না পারলেও দেশে তেলের ঘাটতি দেখা দেবে না! কারণ হিসেবে তাঁদের বেশিরভাগেরই দাবি, তেল নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের সাথে সমস্যা তৈরি হলে বন্ধু রাশিয়া, আমেরিকা, অ্যঙ্গোলা, ব্রাজিলের মতো দেশ থেকে প্রয়োজনীয় তেল আমদানি করে সম্ভাব্য ঘাটতি মিটিয়ে নেবে দিল্লি।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |