প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: খাদ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বর্তমানে অন্ত্যোদয় অন্ন যোজনার অধীনে এক সদস্য রয়েছে এমন গ্রাহকের সংখ্যা তিন লক্ষের বেশি। সেই রেশন কার্ড (Ration Card) এবার বাতিলের পথে হাঁটতে চলেছে খাদ্যদপ্তর। আর সেই আবহেই উল্টোদিকে আরও এক নয়া ভাবনা নিয়ে এসেছে সরকার। জানা গিয়েছে এখন থেকে দশের বেশি সদস্য থাকা পরিবারগুলি রেশনে আরও বেশি খাদ্যশস্য পাবে।
পিছিয়ে পড়া পরিবারগুলির জন্য নয়া উদ্যোগ!
এএওয়াই-এর অন্তর্ভুক্ত গ্রাহকদের প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন সুরক্ষা যোজনার অধীনে প্রতিমাসে পরিবার পিছু ৩৫ কেজি খাদ্য সামগ্রী অর্থাৎ চাল ও গম বিনা পয়সায় দেওয়া হয়ে থাকে। এছাড়া এই যোজনার অধীনে প্রায়োরিটি এবং স্পেশাল প্রায়োরিটি শ্রেণির গ্রাহকদের প্রতি মাসে মাথা পিছু ৫ কেজি করে চাল ও গম দেওয়া হয়ে থাকে।
মূলত আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারগুলি এই কার্ড পেয়ে থাকে। তবে এবার রেশন নিয়ে আরও বড় উদ্যোগ নিতে চলেছে রাজ্যের খাদ্য দপ্তর। ১০ সদস্যের বেশি পরিবারগুলিকে আরও বেশি পরিমাণে খাদ্যশস্য দিতে উদ্যোগী হতে চলেছে সরকার।
রেশন পরিকল্পনা নিয়ে নয়া উদ্যোগ!
রাজ্যের এই লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই দু’টি প্রস্তাব কার্যকর করা হয়েছে। যার মধ্যে একটি হল ১০ জনের বেশি সদস্য থাকা অন্ত্যোদয় পরিবারগুলিকে দু’টি ভাগে ভাগ করে দিতে হবে। অথবা ১০ সদস্যের পরিবারের কিছু সদস্যকে অন্য কোনও রেশন প্রকল্পের আওতাভুক্ত করা হবে। তবে কোনো কিছুই এখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত করা হয়নি। ইতিমধ্যেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দপ্তরের রিফর্ম সেলকে। এছাড়াও রেশন গ্রাহকের কার্ড সংক্রান্ত ব্যাপারেও নয়া ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সক্রিয় কার্ড নিয়ে নয়া আপডেট!
সম্প্রতি খাদ্যদপ্তরের সাম্প্রতিক পর্যালোচনা বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে কোনো প্রকৃত গ্রাহকের কার্ড নিষ্ক্রিয় করে তাঁকে খাদ্যসামগ্রী পাওয়া থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। অর্থাৎ যদি কোনো ক্ষেত্রে দেখা যায় প্রকৃত গ্রাহকের ই-কেওয়াইসি করা নেই কার্ডের,তাহলে সেক্ষেত্রে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিন্তু কোনভাবেই তাঁকে রেশন গ্রহণ করা থেকে বঞ্চিত করে যাবে না। ইতিমধ্যেই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়ে দ্রুত তদন্ত করার নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: মোহনবাগানকে হারিয়ে ভাগ্যের গতিপথ বদলে ফেলল ইস্টবেঙ্গল, সেরার মুকুট লাল হলুদেই
এই প্রসঙ্গে অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু জানিয়েছেন যে, খাদ্যদপ্তরের এই উদ্যোগ খুবই প্রশংসনীয়। অনেকেই এমন গ্রাহক আছেন যাঁরা বয়সজনিত ও অসুস্থতার কারণে এখনও রেশন কার্ডে ই-কেওয়াইসি আপডেট করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে এরকম অনেক গ্রাহকের কার্ড নিষ্ক্রিয় করে দেওয়ার নির্দেশ থাকায় বরাদ্দ বন্ধ করে দেওয়া হয়। সমস্যায় পড়ে তখন গ্রাহকরা। তবে এখন আর এই সমস্যা দেখা যাবে না। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে সমাধানের পথ পাওয়া গিয়েছে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |