প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: ফের হাইকোর্টে অসন্তোষের মুখে পড়ল এসএসসি (SSC)! কর্মশিক্ষা ও শারীরিক শিক্ষার জন্য তৈরি হওয়া সুপার নিউমেরারি পদের ক্ষেত্রে শূন্যপদ থাকলেও কেন নিয়োগপত্র দেওয়া হচ্ছে না প্রার্থীদের এই প্রশ্নে এবার স্কুল সার্ভিস কমিশনের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করল কলকাতা হাই কোর্ট। বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের এজলাসে এই মামলার শুনানিতে সম্পূর্ণ এবং বিস্তারিত তথ্য জানতে চাওয়া হল SSC-র কাছে।
ঘটনাটি কী?
মামলা সূত্রে জানা গিয়েছে, মৌসুমী মণ্ডল নামে একজন চাকরি প্রার্থী ২০১৬ সালের নবম-দশম শ্রেণির কর্মশিক্ষা ও শারীরিক শিক্ষা এবং উচ্চ প্রাথমিকে উভয় নিয়োগ প্রক্রিয়াতেই সফল হয়েছিলেন। তবে এর মধ্যে নবম-দশমের নিয়োগ প্রক্রিয়া আগে শুরু হওয়ায় তিনি সেই পদেই শিক্ষকতা শুরু করেন।
পরে ২০২২ সালে কর্মশিক্ষা ও শারীরিক শিক্ষার জন্য তৈরি হওয়া সুপার নিউমেরারি পদের জন্য তাঁকে ডাকা হয়। যেহেতু তিনি তখন কর্মরত, তাই তিনি সেই পদে যোগ দেননি। এদিকে চলতি বছর এপ্রিলে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে নবম ও দশমের চাকরি বাতিলের হয়ে যাওয়ায় মৌসুমী নামের ওই শিক্ষিকার চাকরি চলে যায়।
শূন্যপদ থাকা সত্ত্বেও কেন নিয়োগ নয়?
কিন্তু এইমুহুর্তে মৌসুমী মণ্ডলের বিরুদ্ধে চাকরি সংক্রান্ত কোনও অনিয়মের অভিযোগ না থাকায়, আপার প্রাইমারিতে অর্থাৎ কর্মশিক্ষা এবং শারীরিক শিক্ষায় তাঁকে নিয়োগ দেওয়ার জন্য SSC-র কাছে আবেদন করেন তিনি।
কিন্তু সেই আবেদনে দীর্ঘদিন ধরে কোনও উত্তর দিচ্ছে না এসএসসি। আর তাই এবার সেই সমস্যার সুরাহার জন্য মৌসুমী মণ্ডল কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন। সূত্রের খবর, গতকাল অর্থাৎ সোমবার বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের এজলাসে ওঠে সেই মামলা।
কী বলছেন মামলাকারীর আইনজীবি?
এদিন বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের এজলাসে মামলাকারী মৌসুমী মণ্ডলের আইনজীবী আশিসকুমার চৌধুরী জানান, “SSC-র গাফিলতির জন্যই তাঁর মক্কেলের চাকরি চলে গিয়েছে। ফলে আপার প্রাইমারিতে কর্মশিক্ষার শূন্যপদে তাঁকে নিয়োগ করাই যুক্তিসঙ্গত।”
এদিকে তাঁর এই দাবির পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের একটি পর্যবেক্ষণের (প্যারা ৪৭) কথাও তুলে ধরেন। আর এই অভিযোগের ভিত্তিতে পাল্টা মন্তব্য করেন এসএসসি আইনজীবি। তিনি বলেন, “মামলার নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ রয়েছে এবং প্যানেলের মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০২০ সালেই।”
আরও পড়ুন: মমতার নির্দেশকে থোড়াই কেয়ার! দিঘার হোটেলে এখনও অমিল ভাড়ার তালিকা
পরবর্তী শুনানি কবে?
এদিকে SSC-র আইনজীবীর দাবি করা এই মন্তব্যে পাল্টা প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “প্যানেল ২০২০ সালে শেষ হলে ২০২২ সালে কাউন্সেলিং হল কীভাবে?” তাই এই বিষয়ে আগামী ১৪ জুলাইয়ের মধ্যে এসএসসি-কে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এছাড়াও সেক্ষেত্রে শূন্যপদ থাকা সত্ত্বেও কেন মৌসুমী মণ্ডলকে নিয়োগপত্র দেওয়া হচ্ছে না, তার সুনির্দিষ্ট কারণ জানাতে বলা হয়েছে কমিশনকে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |