হ্যাকিং-র দিন শেষ! ISRO ও DRDO মিলে আনছে কোয়ান্টাম প্রযুক্তি, বদলে যাবে ভারত

Published on:

Hacking

সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: ধরুন, আপনি কোন ডিভাইসে আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট লগইন করলেন। এবার যদি কোনও হ্যাকার (Hacking) সেই ডিভাইস পায়, তাহলে তার পাসওয়ার্ড ভাঙতেও এখনকার সবথেকে শক্তিশালী সুপার কম্পিউটার দিয়ে শত শত বছর লেগে যাবে। তবে কি কখনো ভেবে দেখেছেন, যদি তার কাছে কোয়ান্টাম কম্পিউটার থাকে, তাহলে ফলাফল কী হবে?

গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন Join Now

হ্যাঁ, সেকেন্ডের মধ্যেই উড়ে যাবে আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে শুরু করে সমস্ত ব্যক্তিগত তথ্য। এমনকি জমানো সমস্ত টাকাও নিমেষে ধুলিস্যাত! আর এই ভয়াবহ পরিণতির আগেই বিরাট ব্যবস্থা নিয়ে ফেলল ভারত। জানা যাচ্ছে, ISRO এবং DRDO এবার এমনই এক প্রযুক্তির দিকে এগোচ্ছে, যা ‘হ্যাক’ শব্দটিকেই শেষ করে দিতে পারে!

কোন প্রযুক্তির পথে ভারত?

খোঁজ নিয়ে জানা গেল, এই প্রযুক্তির নাম কোয়ান্টাম কমিউনিকেশন। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এটি এক ধরনের তথ্য প্রযুক্তি ব্যবস্থা, যার নিরাপত্তা কোনও গাণিতিক সূত্র দিয়ে মাপা হবে না, বরং কোয়ান্টাম ফিজিক্সের সূত্র হিসেবেই হবে। এখানে ব্যবহৃত হবে Quantum Entanglement। এর মাধ্যমে একদিকে কিছু ঘটলেই অপর প্রান্তে তার প্রভাব ধরা পড়বে, তাও কোনোরকম বাহ্যিক সংযোগ ছাড়াই।

বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে Join Now

বলে দিই, কোয়ান্টাম কমিউনিকেশনের মূল চাবিকাঠি Quantum Key Distribution। জানা যাচ্ছে, এখানে ‘Alice’ ও ‘Bob’ নামের দুই পক্ষ নিজেদের মধ্যে কোয়ান্টাম কণার মাধ্যমে এনক্রিপশন তথ্য আদান প্রদান করবে। আর কেউ মাঝখানে যদি হস্তক্ষেপ করে, তাহলে সেই কণার অবস্থান বদলে যাবে এবং সঙ্গে সঙ্গে সতর্কবার্তা চলে আসবে।

ISRO ও DRDO-র বিরাট উদ্যোগ

বেশ কয়েকটি রিপোর্ট দাবি করছে, ISRO ইতিমধ্যেই 300 মিটার দূরত্বে কোয়ান্টাম ভিডিও কমিউনিকেশন সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। এমনকি সেখানে লেজারের মাধ্যমেও ট্রান্সমিশনও হয়েছে। জানা যাচ্ছে, DRDO এবং IIT দিল্লি মিলে 1 কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে হ্যাক প্রুফ সংযোজন করে ফেলেছে। আর ভবিষ্যতে স্যাটেলাইট ভিত্তিক কোয়ান্টাম কমিউনিকেশন নিয়ে আসারও পরিকল্পনা করছে ভারত।

আরও পড়ুনঃ চোখের ভুল ভাবলেই সর্বনাশ! মশার ছদ্মবেশে আসছে মারণ ড্রোন, ভয়ঙ্কর আবিষ্কার চিনের

বলে রাখি, চিন ইতিমধ্যেই Micius স্যাটেলাইটের মাধ্যমে 1200 কিলোমিটার দূরে কোয়ান্টাম তরঙ্গ পাঠাতে সক্ষম হয়েছে। এমনকি ইউরোপ এবং আমেরিকা শহর জুড়ে চলছে কোয়ান্টাম ট্রায়াল। ভারতের অগ্রগতি তুলনামূলকভাবে একটু দেরিতে হলেও DRDO-র সেনাবাহিনী ভিত্তিক এবং ISRO-র স্পেস কমিউনিকেশন প্ল্যানভিত্তিক প্রযুক্তির দ্বারা এবার যে ভারতের মুকুটের নয়া পালক জুড়তে চলেছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্যJoin Group
চাকরির খবরের জন্যJoin Hood Jobs
রাশিফলের জন্যJoin Hood Rashifal
খেলার খবরের জন্যJoin Whatsapp
সঙ্গে থাকুন ➥
Join Group