প্রীতি পোদ্দার, নয়া দিল্লি: দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিমানের মাধ্যমে অতি কম খরচে যাতায়াত করার শখ সকলেরই থাকে। আর এবার সেই শখ পূরণ করতে চলেছে গৌতম আদানি গোষ্ঠীর নাভি বিমানবন্দর (Navi Mumbai International Airport)। যদিও এখনো পর্যন্ত এই বিমানবন্দরের উদ্বোধনের তারিখ চূড়ান্ত করা হয়নি। কিন্তু ইতিমধ্যেই যাত্রীদের উন্নয়ন ফি নিয়ে এক বড় আপডেট সামনে উঠে এল। জানা গিয়েছে এবার যাত্রীদের বিমানবন্দর ব্যবহার করতে গেলে পকেট থেকে খসাতে হবে ১২২৫ টাকা!
উন্নয়ন ফি হিসেবে কত দিতে হবে যাত্রীদের?
সম্প্রতি নাভি বিমানবন্দর অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ স্পষ্ট জানিয়েছেন যে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য অ্যাড-হক ভিত্তিতে ইউডিএফ চার্জ অনুমোদিত হয়েছে। এবং ৩১ মার্চ, ২০২৬ পর্যন্ত অথবা নিয়মিত শুল্ক চূড়ান্ত নির্ধারণ না হওয়া পর্যন্ত, অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা হিসেবে অ্যাড-হক UDF আদায়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, এই বিমানবন্দরটি নভি মুম্বাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর লিমিটেড (NMIAL) দ্বারা তৈরি করা হচ্ছে। এই বিমানবন্দর থেকে উড়ে আসা যাত্রীদের, যা এই বছরের শেষের দিকে চালু হবে, অভ্যন্তরীণ বিমানের জন্য ৬২০ টাকা এবং আন্তর্জাতিক বিমানের জন্য ১,২২৫ টাকা ব্যবহারকারী উন্নয়ন ফি (UDF) হিসেবে দিতে হবে।
কী এই উন্নয়ন ফি?
সাধারণত বিমানবন্দর ব্যবহারকারীদের কাছ থেকেই এই উন্নয়ন ফি (UDF) নেওয়া হয়ে থাকে। বিমানবন্দর উন্নয়ন ফি আসলে একটি চার্জ যা বিমানবন্দর ব্যবহার করার জন্য যাত্রীদের কাছ থেকে নেওয়া হয়। যাত্রীদের বিমান ভাড়া বা টিকিটের মূল্যের সাথে এই ভাড়া অ্যাড অন করা হয়ে থাকে।
আর এই টাকা দিয়েই বিমানবন্দরের উন্নয়ন, সম্প্রসারণ, বা আধুনিকীকরণের ব্যবস্থা করা হয়। তবে এই ফি নির্ভর করে অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক বিমান ভ্রমণের উপর। এই ফি-র মধ্যে রয়েছে যাত্রী টার্মিনাল, রানওয়ে, ট্যাক্সিওয়ে, কার্গো এলাকা, জ্বালানি সংরক্ষণ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা।
আরও পড়ুন: “আমার কাঁধে তিরঙ্গা…”, মহাকাশে পৌঁছে ভারতের উদ্দেশ্যে প্রথম বার্তা শুভাংশুর
যাত্রী ধারণক্ষমতা কত এই বিমানবন্দরের?
অন্যদিকে বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছরের শেষের দিকেই আদানি গ্রুপের এই নতুন বিমানবন্দরটি থেকে উড়ান যাত্রা শুরু হবে। সেক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা যাচ্ছে যে এই বিমানবন্দরের যাত্রীদের বার্ষিক ধারণক্ষমতা প্রথম এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে দুই কোটি হতে পারে।
এবং তৃতীয় ও চতুর্থ পর্যায়ে ধারণক্ষমতা ৫ কোটি এবং ৭ কোটি ধরা হচ্ছে। তবে শেষ এবং পঞ্চম পর্যায়ে ৯ কোটি যাত্রী ধারণ করতে পারবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে শুধু যাত্রী পরিষেবা নয়, বাণিজ্যকে আরও বাড়িয়ে তুলতে চলেছে এই বিমানবন্দর।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |