কামড় ও আঁচড়ের চিহ্ন স্পষ্ট! কসবার নির্যাতিতার মেডিক্যাল পরীক্ষায় হাড়হিম করা তথ্য

Updated on:

Kasba Law College Incident

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: আরজিকর মেডিক্যাল কলেজের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের ধর্ষণের প্রলেপ দেখা দিল কসবা এলাকার সাউথ কলকাতা ল কলেজে (Kasba Law College Incident)। যার দরুন রাজ্য জুড়ে টালমাটাল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তার উপর মূল অভিযুক্তের সঙ্গে শাসকদল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ঘনিষ্ঠতা নিয়েও বিতর্ক তুঙ্গে। এই আবহে নির্যাতিতার মেডিক্যাল পরীক্ষাতেই উঠে এল ভয়ংকর তথ্য।

গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন Join Now

মেডিক্যাল রিপোর্টে উঠে এসেছে ভয়াবহ তথ্য

সূত্রের খবর, গত ২৫ জুন, কসবার ল কলেজ ক্যাম্পাসের মধ্যেই। এক প্রাক্তনী ও দুই সিনিয়র মিলে এক ছাত্রীকে শারীরিক এবং মানসিকভাবে নির্যাতন করে। ঘটনার পরদিনই মূল অভিযুক্ত কলেজের প্রাক্তন ছাত্র তথা আইনজীবি সহ তিন জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এবং নির্যাতিতা ছাত্রীকে গত বৃহস্পতিবারই পার্ক সার্কাসের ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।

ইতিমধ্যেই সেই মেডিক্যাল রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে। এই প্রসঙ্গে পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছেন, মেডিক্যাল পরীক্ষার মাধ্যমে জানা গিয়েছে নির্যাতিতার শরীরে জোর করে যৌনসম্পর্ক স্থাপনের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। কামড়ের দাগ এবং নখের আঁচড়ের চিহ্ন দেখা গিয়েছে নির্যাতিতার শরীরে।

বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে Join Now

তদন্তে উঠে এসেছে ভয়ংকর তথ্য!

সেই পুলিশকর্তা জানিয়েছেন, মূল অভিযুক্ত, যিনি একজন ক্রিমিনাল লইয়ার তিনি সেই ছাত্রীকে কলেজে জিএস পদের লোভ দেখিয়ে ধর্ষণ করেন। সেই সময় আর বাকি দুই অভিযুক্ত যারা কিনা কলেজের বর্তমান পড়ুয়া তারা সেই সময় বাইরে দাঁড়িয়ে পাহারা দিচ্ছিলেন। তাঁরাও ইতিমধ্যে পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।

তদন্ত সূত্রে জানা গিয়েছে প্রথমে কলেজের ইউনিয়ন রুমের বাইরে প্রাথমিকভাবে নির্যাতন করা হয়। তারপরে কলেজের গার্ড রুমে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়। সেইসময় গার্ডকে ভয় দেখিয়ে রুম থেকে বের করে দেওয়া হয়। তারপরই শুরু হয় নির্যাতন।

আরও পড়ুন: রথের দড়ি টানতে গিয়ে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা পুরীতে! আহত ৫৫০

নির্যাতিতার বিস্ফোরক অভিযোগ!

হাড়হিম করা সেই ঘটনায় নির্যাতিতার অভিযোগ, ধর্ষণের পর তাঁকে প্রেম ও বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল মূল অভিযুক্ত। এবং তাকে হুমকি দেওয়া হয় যে ঘটনার পর কাউকে বললে তার বাবা-মাকে মিথ্যে কেসে ফাঁসিয়ে দেবে। এবং তার প্রেমিককে খুন করিয়ে দেবে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।

এমনকি ধর্ষণের মূহুর্তের ভিডিয়ো ভাইরাল করার প্রসঙ্গ তুলছিল অভিযুক্তরা। এখানেই শেষ নয় মেয়েটি যাতে বেরোতে না পারে তার জন্য কলেজের মূল গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। নির্যাতিতাকে রীতিমত হকি স্টিক দিয়ে মারা হয় বলেও অভিযোগ।

গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্যJoin Group
চাকরির খবরের জন্যJoin Hood Jobs
রাশিফলের জন্যJoin Hood Rashifal
খেলার খবরের জন্যJoin Whatsapp
সঙ্গে থাকুন ➥
Join Group