প্রীতি পোদ্দার, গুয়াহাটি: রাজ্যে অনুপ্রবেশের সংখ্যা যেন ক্রমেই বেড়ে চলেছে। তার সঙ্গে বাড়ছে রাজ্যবাসর নিরাপত্তা সংক্রান্ত ঝুঁকি। তাই সেক্ষেত্রে রাজ্যবাসীর নাগরিকত্ব নিয়ে আরও কড়াকড়ি হতে উঠে পড়ে লাগল রাজ্য সরকার। উঠে এল NRC যোগ। আর সেই আবহে এবার রাজ্য সরকার আধার কার্ড (Aadhaar Rule Change) নিয়ে এক বড় সিদ্ধান্ত নিল। জানা গিয়েছে এবার থেকে জেলা প্রশাসকরাই রাজ্যবাসীর আধার কার্ড ইস্যু করতে পারবেন।
আধার কার্ডের ইস্যু নিতে বড় আপডেট
জানা গিয়েছে, বিগত কয়েক মাস ধরেই খবরের শিরোনামে উঠে আসছে যে সীমান্তের কড়া নিরাপত্তা তোয়াক্কা না করেই অসমে অবৈধভাবে ঢুকে পড়ছে বাংলাদেশিরা। শুধু তাই নয়, ভুয়ো পাসপোর্ট, জন্ম শংসাপত্র এবং জাল আধার কার্ডের ধরপাকড়ও বেশ বেড়েছে। আর তাই সেই জটিল সমস্যা দূর করতে কড়া পদক্ষেপ নিল অসম সরকার।
রাজ্যের অবৈধবাসীরা যাতে আধার কার্ড না পেতে পারেন, সেই ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বললেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। অর্থাৎ যদি কোনও প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির আধার কার্ডের প্রয়োজন হয়, তাহলে জেলা প্রশাসকই তা সরবরাহ করতে পারবেন।
কী বলছেন মুখ্যমন্ত্রী?
এই প্রসঙ্গে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা আধার কার্ডের ইস্যু নিয়ে জানিয়েছেন যে, “ দিনের পর দিন যে হারে রাজ্যে অনুপ্রবেশকারীদের বাড়বাড়ন্ত বেড়ে চলেছে সেই কঠোরতা দূর করতে আমরা আধার কার্ড প্রদানের জন্য কঠোর ব্যবস্থা নিতে চলেছি। যদিও এখনও কোনো চূড়ান্ত সিদ্বান্ত নেওয়া হয়নি। পরবর্তী মন্ত্রিসভার বৈঠকে আমরা এই সংক্রান্ত আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত নেব।”
এছাড়াও এদিন হিমন্ত বিশ্ব শর্মার মুখে পুশব্যাকের প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। তিনি জানিয়েছেন, গতকাল রাতেও সীমান্ত থেকে ২০ জন বাংলাদেশি নাগরিককে তাদের দেশে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: কামড় ও আঁচড়ের চিহ্ন স্পষ্ট! কসবার নির্যাতিতার মেডিক্যাল পরীক্ষায় হাড়হিম করা তথ্য
জেলা কমিশনারদের হাতেই থাকবে ক্ষমতা!
এর আগে শতাধিক অবৈধ বাংলাদেশিকে বহিষ্কার করা হয়েছে অসম থেকে। কিছুদিন আগেএই বিধানসভায় দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেছিলেন যে রাজ্য সরকার অবৈধ বিদেশিদের চিহ্নিত ও নির্বাসনের জন্য ১৯৫০ সালের আইন প্রয়োগ করবে। যার ক্ষমতা শুধুমাত্র জেলা কমিশনারদের হাতেই থাকবে, যাতে তারা অবৈধবাসীদের বেআইনি ঘোষণা করে তাদের দেশ থেকে বের করে দিতে পারেন।
আর এই আবহে এবার অসম সরকার এই আইনের বিধান অনুসারে ব্যবস্থা নিতে চলেছে বলে ওয়াকিবহাল মহলের তরফে জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, অসমে ২০১৯ সালের ৩১ অগস্ট এনআরসি-র তালিকা প্রকাশ হয়েছিল। ওই তালিকা থেকে ১৯ লক্ষ ৬ হাজার ৬৫৭ জন আবেদনকারীর নাম বাদ পড়েছিল, যা নিয়ে পরবর্তীকালে তীব্র অশান্তিও হয়েছিল রাজ্যে।
রাজ্য রাজনীতি, বিনোদন থেকে শুরু করে খেলা সংক্রান্ত নানা ধরনের খবরের লেটেস্ট আপডেট পেতে এখনই ফলো করুন আমাদের India Hood Bangla কে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |