বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ছিটে ফোঁটাও নেই ইউনূস জামানায়। সেসব বহু আগেই ভুলে গিয়েছে ওপার বাংলার জনগণ। আসলে হাসিনা সরকারের পতনের পরই বাংলাদেশি হিন্দুদের মাথায় নেমে এসেছে দুর্ভোগের খাড়া। ভারতের তরফে বারংবার উদ্বেগ প্রকাশ করা সত্ত্বেও বদলায়নি ওপার বাংলার চিত্র।
সম্প্রতি ওপার থেকে ভেসে আসে একটি হৃদয়বিদারক খবর। জানা যায়, বুলডোজার দিয়ে ঢাকার দূর্গা মন্দির গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইসলাম ধর্মালম্বী কট্টরপন্থীরা (Bangladesh Durga Temple Demolition)। আর এর পরই তড়িঘড়ি প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারত সরকার। শোনা যাচ্ছে, দিল্লির তরফে নিন্দা পেতেই নড়ে চড়ে বসেছে ঢাকা। দুর্গা মন্দির ভাঙার সাফাই গাইতে এবার নতুন সুর বাংলাদেশের!
ভারতের প্রতিক্রিয়া পেতেই সোজা পথে বাংলাদেশ!
বেশ কয়েকটি সূত্র মারফত খবর, ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাথে যুক্ত আমলারা নাকি মদত দিয়ে গত বৃহস্পতিবার ঢাকার দুর্গা মন্দির ভেঙে দেয়। জানা যায়, ঢাকা শহরের খিলখেত এলাকায় ছিল ওই দুর্গামন্দিরটি। পরবর্তীতে স্থানীয় বাসিন্দারা প্রতিবাদ জানালেও কোনও সুরাহা হয়নি। বরং বাংলাদেশ পুলিশের তরফে প্রতিবাদী কণ্ঠধারীদের জোর করে সরিয়ে দেওয়া হয়। আর এরপরই দূর্গা মন্দির ভাঙার ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারত।
দিল্লির তরফে নিন্দার সুর শুনতেই এবার নতুন গান ধরল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। জানা গিয়েছে, শুক্রবার কুকর্মের সাফাই গাইতে বাংলাদেশের তরফে জানানো হয়, রেললাইনের পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে একাধিক বেআইনি বসতি গড়ে উঠেছিল। আর সেইসব কাঠামোগুলিকেই ভেঙে ফেলা হয়েছে। তবে মন্দির ভাঙ্গার আগে দুর্গা প্রতিমাটি নদীতে বিসর্জন দেওয়া হয়েছিল।
ইউনূস সরকারের নতুন নাটক!
দূর্গা মন্দির ভাঙার ঘটনাকে কেন্দ্র করে নানা মহল থেকে প্রতিক্রিয়া পাওয়ার পর, অন্তর্বর্তী সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, গত বছর অর্থাৎ 2024 সালে নাকি বাংলাদেশের স্থানীয় সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায় ওই পুজো মন্ডপ সরকারের কাছ থেকে কোনও রকম অনুমতি ছাড়াই একেবারে বেআইনিভাবে তৈরি করেছিল।
তবে বাংলাদেশ রেলওয়ের তরফে নাকি শর্ত দেওয়া হয়, দুর্গা পুজো মিটে গেলেই ওই মন্ডপ খুলে ফেলতে হবে। তবে পরবর্তীতে স্থানীয় হিন্দুরা মন্ডপ তুলতে রাজি না হলে বুলডোজার নিয়ে এসে ওই মন্ডপটিকে ভেঙে দেয় কর্তৃপক্ষ।
অবশ্যই পড়ুন: আজ থেকেই বাঁকুড়া-হাওড়া ভায়া মসাগ্রাম সরাসরি ট্রেন, জেনে নিন স্টপেজ সহ সময়সূচি
উল্লেখ্য, স্থানীয় সংখ্যালঘু হিন্দুদের দাবিকে উড়িয়ে দুর্গা মণ্ডপটি ভেঙে দেওয়ার পর বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের তরফে সাফাই দিয়ে বলা হয়, ওই মন্ডপটি জোর করে তৈরি করে রেখেছিল স্থানীয় হিন্দুরা। মন্ডপ তুলে দেওয়ার জন্য আইনি চিঠিও ধরানো হয়েছিল তাদের। তবে শেষ পর্যন্ত রাজি না হওয়ায় দেবী প্রতিমা নদীতে বিসর্জন দিয়ে তবেই মন্ডপটি তুলে দেওয়া হয়েছে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |