সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের আবহে ফের আলোচনার শিরোনামে ওপার বাংলা (Bangladesh)। অভিযোগ উঠছে, রাশিয়ার দখল করা ইউক্রেনের অঞ্চল থেকে গম আমদানি করছে বাংলাদেশের কিছু প্রতিষ্ঠান। আর তাতেই চটে উঠেছে কিয়েভ। এমনকি ইউক্রেন এবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে দাবি জানিয়েছে যে, এই সমস্ত বাংলাদেশী প্রতিষ্ঠানের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপানো হোক।
বিতর্কের শুরু কী নিয়ে?
সম্প্রতি এক রিপোর্ট মারফত জানা যাচ্ছে, ইউক্রেন অভিযোগ করেছে, 2014 সাল থেকে রাশিয়া ইউক্রেনের কিছু অঞ্চল দখল করেছিল। আর যুদ্ধের পর থেকে সেই অঞ্চলের গম তুলে রপ্তানি করে ফেলছে রাশিয়া। তবে ইউক্রেন দাবি করছে, এটি সম্পূর্ণ চুরি করা শস্য এবং বাংলাদেশে সেই গম অবৈধভাবে আমদানি করা হচ্ছে।
এমনকি ইউক্রেনের এক সিনিয়র কূটনৈতিক জানিয়েছেন যে, বারবার সতর্ক করার পরও বাংলাদেশ গম আমদানি বন্ধ করেনি। এখন আমাদের কাছে আর কোনোরকম পথ খোলা নেই। ইউরোপীয় ইউনিয়নের হস্তক্ষেপ চাই আমরা।
প্রসঙ্গত, দিল্লিতে অবস্থিত ইউক্রেনের দূতাবাসের তরফ থেকে বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রীকে সম্প্রতি একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। সেই চিঠিতে বলা হয়েছে যে, কাভাকাজ বন্দর থেকে রওনা হওয়া 1.5 লক্ষ টন গম ইউক্রেনের কিছু অঞ্চল থেকে চুরি করে আনা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ রথের আবহে অনেকটাই দরপতন সোনার, জলের দরে বিকোচ্ছে রুপো! আজকের রেট
রাশিয়ার যুক্তি
তবে এ নিয়ে রাশিয়ার পক্ষ থেকে পাল্টা দাবি করা হচ্ছে, যে অঞ্চলগুলি ইউক্রেনের আওতায় ছিল, সেগুলি এখন রাশিয়ার।আর সেখানে উৎপাদিত ফসলকে কোনওভাবে চুরি বলা যায় না। আমরা নিজেরাই নিজেদের শস্য রপ্তানি করেছি। তবে এই ইউক্রেনের গোয়েন্দা রিপোর্ট বলছে, রাশিয়ার উৎপাদিত গমের সঙ্গে দখলকৃত জমির গম মিশিয়ে রপ্তানি করা হয়েছে। আর এই কাজ যুদ্ধের আগেই হয়েছে।
তবে এই বিতর্কের আগুনে ওপার বাংলার তরফ থেকে কোনোরকম আনুষ্ঠানিক বিবৃতি মেলেনি। কিন্তু বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে কেউ কেউ বলছে যে, রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্কের টানাপোড়েনের কারণে সরাসরি কোনও পক্ষ সওয়াল করতে পারছে না। তবে প্রশ্ন উঠছে, বাংলাদেশ কি অজান্তেই এই বিতর্কিত কৃষি পণ্য আমদানি করছে? নাকি সমস্ত তথ্য জানা সত্ত্বেও সবকিছু উপেক্ষা করে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে? উত্তর সময়ই বলে দেবে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |