বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: ক্ষমতায় থেকে স্বার্থসিদ্ধি করতে কে না চায়? বর্তমান দুনিয়ায় নিজ স্বার্থ আগে নিয়ে চলো নীতি গ্রহণ করেছেন বহু তাবড় তাবড় ব্যক্তিত্ব। এমতাবস্থায়, বাংলাদেশের ইতিহাস নিয়ে ছেলেখেলা করাটা ইউনূসের দোষ হবে কেন? সবাই যা করছেন তিনিও সেই একই পথের পথিক। তাহলে ভুলটা কোথায়? আদতে এই সমস্ত প্রশ্ন উড়িয়ে দিচ্ছেন ইউনূসের (Muhammad Yunus) চেলারাই।
আসলে সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে, ইউনূসের নতুন বাংলাদেশ দিবস ঘোষণা। জানা যাচ্ছে, সম্প্রতি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার 8 আগস্ট অর্থাৎ ইউনূসের সরকার গঠনের দিনটিকেই নতুন বাংলাদেশ দিবস হিসেবে পালন করতে চেয়েছে, সেই মর্মেই এসেছে ঘোষণা।
এহেন আবহে, এমন কর্মকাণ্ডের নেপথ্যে শান্তিতে নোবেলজয়ী উপদেষ্টার গোপন ইচ্ছে ধরে ফেলেছেন অনেকেই। ওপারের বেশ কিছু সূত্র বলছে, 2024 সালের 8 আগস্ট দিনটিকে বাংলাদেশ দিবস হিসেবে পালন করতে চাওয়ায় এবার ইউনূসের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন তাঁর শিষ্যরাই।
ইউনূসের পদক্ষেপে আপত্তি রয়েছে সমর্থকদের
বাংলাদেশের ইতিহাস বদলে দিতে এক ফোঁটাও ভাবছেন না ওপার বাংলার উপদেষ্টা, আসলে নিজের সরকার গঠনের দিনটিকে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বাধিক চিরস্মরণীয় করে রাখতে, 8 আগস্টকে নতুন বাংলাদেশ দিবস হিসেবে বিকৃতি দিতে চান ইউনূস। তবে সেই পদক্ষেপ আবার মেনে নিতে পারছেন না তাঁর ভক্তরাই।
বলে রাখি, হাসিনা জামানার পতন হতেই ইউনূসের পক্ষে গলা ফাটিয়েছিলেন বাংলাদেশের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। রাজনৈতিক ভাষায় যে দলটির নাম এনসিপি। তবে এবার সেই দলের সদস্যরাই ইউনূসের নতুন বাংলাদেশ দিবস নিয়ে অনিচ্ছুক। ফলত, স্বাভাবিকভাবেই অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের দিনটিকে নতুন বাংলাদেশ দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন শান্তিতে নোবেলজয়ীর অনুগামীরা।
অবশ্যই পড়ুন: ফের আত্মঘাতী বিস্ফোরণ পাকিস্তানে! নিহত ১৬ পাক সেনা, গুরুতর আহত বহু শিশু
ইউনূস সমর্থকদের বক্তব্য
অন্তর্বর্তী সরকারের নতুন বাংলাদেশ দিবস সংক্রান্ত সিদ্ধান্তকে উড়িয়ে দিয়ে বাংলাদেশের এনসিপি পার্টির নেতা তথা দলের সদস্য সচিব আখতার হোসেন সোশ্যাল পোস্টে জানিয়েছেন, নতুন বাংলাদেশ দিবস সেদিন পালিত হবে, যেদিন জুলাই ঘোষণাপত্র আসবে, যেদিন মৌলিক সংস্কারের ভিত্তিতে জুলাই সনদ হবে।
এদিকে আবার বাংলাদেশ জাতীয় নাগরিক পার্টির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে লিখেছেন, 8 আগস্ট বাংলাদেশে দ্বিতীয় স্বাধীনতা আসেনি। বরং ওই দিন দ্বিতীয়বারের মতো স্বাধীনতা নষ্টের, ছাড় দেওয়ার ও বিপ্লব বেহাত করার কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছিল।
এমন দাবি তুলেই 5 আগস্ট দিনটিকে জুলাই অভ্যুত্থান দিবস ও দেশের স্বাধীনতা দিবস হিসেবেই সমর্থন করছেন আলম। তাছাড়াও, ওপার বাংলার ইউনূস বিরোধীরা দাবি করছেন, দেশের সংবিধান সংক্রান্ত বা জাতীয় ক্ষেত্রের কোনও সিদ্ধান্ত একমাত্র নির্বাচিত সরকারই নিতে পারে, কোনও অন্তর্বর্তী সরকার নয়।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |