বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: সদ্য বাংলাদেশের কাঁচাপাট ও পাটজাত বেশ কিছু পণ্যের ওপর আমদানি (Bangladeshi Jute Import) নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ভারত সরকার। ফলত, সেই কারণেই শনিবার স্থলপথে এদেশে প্রবেশ করতে পারেনি কোনও বাংলাদেশি পাট পণ্য।
তবে বিশ্লেষকদের মতে, কেন্দ্রের এমন সিদ্ধান্তে বাংলাদেশের তো ক্ষতি হবেই, সেই সাথে দেশের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর পেট্রাপোলের অর্থনীতিতেও বড়সড় ধাক্কা আসবে। একই সঙ্গে কাঁচাপাটের অভাবে ধুঁকতে হবে দেশের চটকলগুলিকেও!
বাংলাদেশ থেকে পাট আমদানি বন্ধ করায় কতটা ক্ষতি হবে ভারতের?
হাসিনা জামানা শেষ হতেই মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের সাথে ভারতের সম্পর্ক ক্রমশ তলানিতে ঠেকেছে। বিগত মাসগুলিতে ভারতের বিরুদ্ধে যেভাবে অকল্পনীয় ও অনৈতিক আচরণ করেছে বাংলাদেশ, তাতে কুকর্মের যোগ্য সাজা পাওয়াটাই হয়তো ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য উচিত শিক্ষা হবে! সম্ভবত এমন ভাবনা থেকেই দিনের পর দিন ঘটে চলা অগ্রহণযোগ্য কার্যকলাপের পাল্টা জবাব দিয়েছে কেন্দ্র।
বহু আগেই স্থলপথে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল বস্ত্র আমদানি। এবার সেই পথ ধরেই বেঁচে থাকা পাট আমদানিও নিষিদ্ধ করল দিল্লি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর জেরে ক্ষয়ক্ষতির বোঝা অনেকটাই বাড়বে বাংলাদেশে। তবে তার সাথে সাথেই যথেষ্ট চাপে পড়তে হবে ভারতের চটকলগুলিকেও।
শোনা যাচ্ছে, ভারতের বৃহত্তম স্থলবন্দর পেট্রাপোল দিয়ে বাংলাদেশ থেকে দিনে অন্তত 30 ট্রাক পাট ও পাট পণ্য আসতো। তবে বর্তমানে সেই রাস্তা পুরোপুরি বন্ধ হয়েছে। যার জেরে ক্ষতি হতে পারে দুদেশের ব্যবসায়ীদেরই। এ প্রসঙ্গে পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী জানান, অনেক আগেই বাণিজ্য কমেছিল দু’দেশের। এবার সেই পরিমাণটা আরও ব্যাপক হল।
ফলত, পাট ও পাটজাত পণ্য আমদানি বন্ধ হওয়ায় খুব শীঘ্রই প্রভাব পড়তে চলেছে এদেশের শিল্পেও। এরপরই কার্তিক বাবু জানান, ইতিমধ্যেই পেট্রাপোলকে ঘিরে তৈরি হওয়া আর্থিক কর্মকান্ডেও প্রভাব পড়েছে। বর্তমানে ট্রাকে ওঠানো এবং নামানোর জন্য নিযুক্ত শ্রমিকদের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। আসলে, স্থলপথে বাংলাদেশ থেকে আসা পাটগুলি নামানো এবং নির্দিষ্ট স্থানে নিয়ে যাওয়ার জন্য নিযুক্ত কর্মীরা এখন কার্যত বেকার! ফলত সেই সব কারণেই, কেন্দ্রের এমন সিদ্ধান্তে খুশি নন চটকল মালিকরাও।
কেন্দ্রকে চিঠি চটকল মালিকদের
বাংলাদেশের কাঁচাপাট ও পাটজাত পণ্যে আমদানি নিষেধাজ্ঞার পর কেন্দ্রের এমন সিদ্ধান্তে একেবারেই সন্তুষ্ট নন দেশের চটকল মালিকরা। এ প্রসঙ্গে, চটকল মালিকদের সংগঠন সভাপতি জানিয়েছেন, আমরা কেন্দ্রের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছি। আসলে বাংলাদেশ থেকে যে উচ্চমানের পাট আসে তা দেশে খুব কম উৎপন্ন হয়। ফলত, ওদেশ থেকে সেই পণ্য আসা বন্ধ হয়ে গেলে দেশে পাট ও পাট জাত দ্রব্যের দাম বাড়বে। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশ থেকে পাট পণ্য আমদানি বন্ধের কারণে বড়সড় ধাক্কা খাবে পেট্রাপোলের অর্থনীতি।
অবশ্যই পড়ুন: ‘আমাকে মারধর করত!’ কোহলির বন্ধুর বিরুদ্ধে বিরাট অভিযোগ তরুণীর!
উল্লেখ্য, বিশেষজ্ঞদের অনেকেই আশঙ্কা করছেন, কেন্দ্রের এমন সিদ্ধান্তের পর বাংলাদেশ থেকে পাট না এলে পেট্রাপোলের মত বৃহত্তম বন্দরও আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে পারে। শুধু তাই নয়, কাঁচা পাট গাড়ি থেকে ওঠানো এবং নামানোর জন্য নিযুক্ত বহু কর্মী বেকারত্বে ভুগবেন দীর্ঘদিন। পাশাপাশি দেশের চটকলগুলিতেও এমন নিষেধাজ্ঞার প্রভাব খুব খারাপ ভাবেই পড়বে! তবে অনেকেই আবার কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তটিকে বাংলাদেশের একাধিক কুকর্মের যোগ্য জবাব হিসেবে দেখছেন।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |