সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: রেলের (Indian Railways) টিকিট কাটার সময় বা সময়সূচি খতিয়ে দেখলে চোখে পড়ে, কোনও ট্রেনের পাশে লেখা “UP”, আবার কোনো ট্রেনের পাশে লেখার “DN”! অনেকে হয়তো ভেবে থাকেন, এটা ট্রেন কোন দিকে যাচ্ছে, তার উপর নির্ভর করে। আবার কেউ ভেবে থাকে, উত্তর দিকে গেলে “UP”, আবার কেউ ভেবে থাকে, উঁচু স্থানে গেলে “UP”! তবে আসলে কি তাই? চলুন বিস্তারিত জেনে নিই।
আপ আর ডাউন কীভাবে নির্ধারিত হয়?
ভারতীয় রেল বলছে, আপ ট্রেন হলো সেই সমস্ত ট্রেন, যা তার নিজস্ব ডিভিশনাল হেডকোয়ার্টার্সের দিকে যাচ্ছে। আর ডাউন ট্রেন সেই সমস্ত ট্রেন, যেগুলি তার হেডকোয়ার্টার্স থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ, সম্পূর্ণ ভাবে এটি রেলের নিজস্ব অঞ্চলের উপর নির্ভর করে, কোনও গন্তব্যের দিকে নয়।
সেই সূত্র ধরে, যদি 2903 ডাউন ফ্রন্টিয়ার মেল মুম্বাই হেডকোয়ার্টার্স থেকে বেরিয়ে যায়, তাহলে সেটি হবে ডাউন ট্রেন এবং যদি 2904 ট্রেনটি মুম্বাইয়ের দিকে ফিরে, তাহলে সেটি হবে আপ ট্রেন।
ট্রেনের নম্বরেও থাকে ইঙ্গিত
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ডাউন ট্রেনের নম্বর বিজোড় সংখ্যা হয়, আর আপ ট্রেনের নম্বর জোড় সংখ্যা হয়। যেমন ধরুন, নতুন দিল্লি-ভোপাল শতাব্দী এক্সপ্রেসের ক্ষেত্রে 2001 ডাউন ট্রেন, যেটি দিল্লি থেকে ভোপালের দিকে যায়, আর 2002 আপ ট্রেন, যেটি ভোপাল থেকে দিল্লির দিকে ফেরে।
আরও পড়ুনঃ CBSE, ICSE নাকি রাজ্য বোর্ড, সন্তানের জন্য কোনটি ভালো? দেখে নিন সমস্ত তথ্য
সব জোনেই একই নিয়ম?
তবে জানিয়ে রাখি, রেলের এই নিয়ম সব জোনের ক্ষেত্রে এক নয়। যেমন, হাওড়া-মুম্বাই কালকা মেলের আপ নম্বর 1, আর ডাউন নম্বর 2। আবার হাওড়া-মুম্বাই মেলে ঠিক উল্টো। আপ নম্বর 2 এবং ডাউন নম্বর 1। পাশাপাশি নতুন দিল্লির রিং রেলওয়েতে সম্পূর্ণ আলাদা পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। সেখানে ঘড়ির কাঁটার দিকে যাওয়া ট্রেনকে আপ, আর উল্টো দিকে যাওয়া ট্রেনটিকে ডাউন ধরা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেল, এই পদ্ধতির শুরু হয়েছিল Great Indian Peninsula Railway-র সময়। যারা বোম্বে এবং মাদ্রাজ রেলের জন্য এই নিয়ম চালু করেছিল। সেই সুময় কলকাতা যাওয়া ট্রেনকে ডাউন ধরা হয়েছিল। আবার উত্তর-পশ্চিম রেলের মতে, পশ্চিম দিকে যাওয়া ট্রেনটি ছিল আপ ট্রেন। ফলে এ নিয়ে এখনো কিছু সংশয় থেকে যায়।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |