প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: স্কুল সার্ভিস কমিশনের নতুন বিজ্ঞপ্তি (SSC New Recruitment Notice) নিয়ে এবার কলকাতা হাইকোর্টে প্রশ্নের মুখে পড়ল রাজ্য সরকার এবং কমিশন। বিজ্ঞপ্তিতে নির্দিষ্ট করে চিহ্নিত অযোগ্যদের কেন নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে স্পষ্ট বারণ করা হল না? সেই নিয়ে ক্ষুব্ধতা প্রকাশ করল কলকাতা হাই কোর্ট। DA নিয়ে মেটানোর চাপে এবার আরেক ফ্যাসাতে পড়ল সরকার।
মামলা হাইকোর্টে!
গত ৩০ মে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ার নোটিশ জারি করে স্কুল সার্ভিস কমিশন। এই সেই বিজ্ঞপ্তিতে দুর্নীতির জেরে চাকরিবাতিলের ফলে তৈরি শূন্যপদের পাশাপাশি নতুন শূন্যপদ যোগ করে কমিশন। তার সঙ্গে বেশ কিছু নিয়মের পরিবর্তন করা হয়। অভিজ্ঞতার জন্য ধার্য করা হয় বাড়তি নম্বর।
এমনকী দুর্নীতি করে চাকরি পাওয়া বলে আদালতে চিহ্নিত প্রার্থীদেরও পরীক্ষায় বসার সুযোগ দেওয়া হয়। সেই সময় এই বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা।
একাধিক দাবি মামলাকারীদের
কমিশনের প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে কোথাও দাগি এবং দাগি নন এমন চাকরিপ্রার্থীদের পৃথক করার কথা বলা হয়নি, তাই সেই নিয়ে গোড়া থেকেই আপত্তি জানাচ্ছিলেন নিজেদের যোগ্য বলে দাবি করা চাকরিহারারা। তাই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে তাঁদের দাবি ছিল, কমিশন বিজ্ঞপ্তিতে যারা বঞ্চিত তাদের মধ্যে যোগ্য প্রার্থী রয়েছেন। আবার যারা চাকরি করেছেন তাদের মধ্যে এখনও অনেক অযোগ্য থাকতে পারেন। তাহলে কীসের ভিত্তিতে অভিজ্ঞতার জন্য বাড়তি নম্বর ধার্য করা হয়েছে?
কমিশনের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ বিচারপতি!
শুধু তাই নয় সুপ্রিম কোর্ট যাদের দুর্নীতিগ্রস্ত বলে চিহ্নিত করে নতুন পরীক্ষায় বসার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে তাদের ফের পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হচ্ছে কেন এই নিয়েও তোলা হয়েছে প্রশ্ন। এবার সেই একই প্রশ্ন রাজ্য সরকার এবং স্কুল সার্ভিস কমিশনকে বিরুদ্ধে করল হাইকোর্টের বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য। সূত্রের খবর, আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার শীর্ষ আদালতের রায় মোতাবেক পুরনো বিধি মেনে নিয়োগপ্রক্রিয়া করার পরিবর্তে কেন নতুন বিধি আনা হল, সেই প্রশ্নও তুলেছে উচ্চ আদালত।
আরও পড়ুন: ‘এটা কোনও বিচারপতির আচরণ?’, এবার অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে হাইকোর্টে প্রশ্ন!
বিপুল চাপে রাজ্য
শেষে একক বেঞ্চের নির্দেশে জানানো হয়েছে, আগামী সোমবার এই মামলার পরিবর্তী শুনানি হবে। আর ওইদিনই রাজ্য এবং SSC-কে হলফনামা দিয়ে এই প্রশ্নের বক্তব্য জানাতে হবে। উল্লেখ্য চলতি বছর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে একধাক্কায় প্রায় চাকরিহারা হয়ে পড়েছে ২৬ হাজার প্রার্থী।
যার জেরে বিপুল চাপের মুখে পড়েছে রাজ্য সরকার। এদিকে শীর্ষ আদালতের রায় মেনে নয়া বিজ্ঞপ্তিকে ঘিরেও একের পর এক অভিযোগ জমা পড়েছে। তাই এইমুহুর্তে পরবর্তী শুনানির দিকে তাকিয়ে রাজ্যবাসী।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |