প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: পছন্দ অনুযায়ী নতুন শিক্ষিকা নিয়োগ করা হয়নি! এবার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে সরাসরি তালা বন্ধ করে দিল শাসকদলের নেতা! টানা তিনদিন বন্ধ কেন্দ্রীয়, নিশ্চুপ স্থানীয় তৃণমূল নেতা। গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকা জুড়ে। যদিও সেই অভিযোগ মানতে নারাজ শাসকদল। কটাক্ষ করতে ছাড়ল না বিরোধী দল বিজেপি।
ঘটনাটি কী?
রিপোর্ট মোতাবেক, ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার ধুবুলিয়া বটতলার ১ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে। ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের আগের শিক্ষিকা গত ৩০ জুন অবসর নিয়েছেন। এরপরেই গত ১ জুলাই এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে শিক্ষিকা হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন টুকটুকি খাতুন।
কিন্তু তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পরদিনই ধুবুলিয়া এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য তৃণমূল নেতা বরকত আলি শেখ ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে তালা দিয়ে দেন। নেপথ্যে কারণ নাকি তাঁর পছন্দের মত শিক্ষক নিয়োগ না হওয়ায় এই পরিণতি কেন্দ্রের।
অভিযোগ অস্বীকার নেতার!
এদিকে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা গেল না ধুবুলিয়া ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য বরকত আলি শেখের। বরং সম্পূর্ণ অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, “গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য হিসেবে আমি ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের চেয়ারম্যান। তাছাড়া আমি তালা মারিনি। গ্রামের লোক সেখানে তালা দিয়েছেন।”
এছাড়াও তিনি আরও বলেন যে, “এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের আগের শিক্ষিকা অবসর নেওয়ার পর ওই পদের জন্য গত ১৩ মে একজন আবেদন জানিয়েছিলেন। এমনকি তাঁকেই নেওয়ার বিষয়ে ঠিক ছিল। কিন্তু, আচমকা সিডিপিও অর্থাৎ চাইল্ড ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট অফিসার এই শিক্ষিকাকে নিয়োগ করেছেন। আর তাতেই গ্রামবাসীরা বেশ ক্ষুব্ধ। সেই জন্যই এমন সিদ্ধান্ত।”
কী বলছেন নতুন শিক্ষিকা?
অন্যদিকে তিন দিন ধরে টানা বন্ধ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। রান্না না হওয়ায় খেতে পারছে না শিশু ও প্রসূতিরা। এই প্রসঙ্গে, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের শিক্ষিকা টুকটুকি খাতুন বলেন, “১ জুলাই এখানে কাজে যোগ দিয়েছি। পরেরদিনই তিনি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে তালা দিয়ে চাবি নিয়ে চলে গিয়েছেন। আমায় বললেন, আসতে নিষেধ করার পরও কেন আমি এসেছি।”
এরপর বিষয়টি তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। এদিকে গত ২৫ বছর ধরে বরকত আলি শেখ গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য। তাঁর এ হেন আচরণে ক্ষুব্ধ বিরোধী দল।
আরও পড়ুন: ‘হারবে রাজ্য, ২৫% নয়, দিতে হবে সবটাই’, সুপ্রিম কোর্টে DA মামলার শুনানির আগে বড় দাবি
কটাক্ষ বিরোধী দলের
এই প্রসঙ্গে, ধুবুলিয়া ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা মণি ঘোষ জানিয়েছেন যে, “গায়ের জোরে তালা দিয়ে চলে গিয়েছেন তৃণমূলের এই মন্ত্রী। যা খুশি করছেন, এটা ঠিক নয়। এখানে শিশুদের অপরাধ কোথায়? কেন তারা খাবার পাবে না?”
এছাড়াও তিনি আরও বলেন যে, “মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস কোনও প্রতিবাদ করেন না। তিনি একবারও এই নিয়ে বলেননি। ধিক্কার জানাই শাসকদলকে।” অন্যদিকে নাসিনা বিবি নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “আমরা চাই, শিশুরা পড়াশোনা করুক। খাবার পাক।”
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |