সহেলি মিত্র, কলকাতাঃ বকেয়া ডিএ মামলা এখন ঠিক কোন পরিস্থিতিতে রয়েছে? এই নিয়ে বর্তমানে নানা প্রশ্ন উঠছে। কবে মিলবে টাকা? আদৌ মিলবে কি? সেসব নিয়ে সরাসরি জবাব দিলেন কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায়। বিগত বেশ কিছু বছর ধরে সুপ্রিম কোর্টে বাংলার DA মামলা ঝুলে থাকার ফলে অবশেষে সরকারকে বকেয়া টাকা মেটানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। জুন মাসের ২৭ তারিখ বকেয়া টাকার ২৫ শতাংশ মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। তবে নির্দেশ দেওয়াই সার হয়েছে। কারণ মেলেনি টাকা। আর এই নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছেন সরকারি আধিকারিকরা।
ডিএ মামলার বর্তমান পরিস্থিতি
ইতিমধ্যে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে দেশের শীর্ষ আদালতে অবমাননার মামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায়। এদিকে এখন ঠিক কী পরিস্থিতিতে রয়েছে সমগ্র মামলা সে বিষয়ে জবাব দিলেন সরকারি নেতা। তিনি এক ভিডিও বার্তায় জানালেন, ‘২৭ জুন ডিএ না দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকার সর্বোচ্চ আদালতে এম.এ দায়ের করল। সেটা দায়ের করে সরকার বোঝাতে চেয়েছে যে পরিস্থিতি ঠিক কী? বা কেন এই টাকা দেওয়া যাচ্ছে না সে বিষয়ে। কিন্তু আমাদের তরফের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম রাত ১২টার সময়ে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে মেইল করে জানায় যে আগামীকাল অর্থাৎ ২৭ জুন টাকা দেওয়ার ডেডলাইন শেষ হয়ে যাচ্ছে। ডিএ দেওয়ার ব্যবস্থা করুন, নইলে কিন্তু আদালত অবমাননার মামলা করব।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম সরকার হয়তো মেনশন করে একটা ডেড চাইবে এম.এ অ্যাপ্লিকেশনের জন্য। কিন্তু ২৭ তারিখ থেকে আজ পর্যন্ত কিছুই করেনি, বরং হাত তুলে বসে আছে সরকার। আমরা যে পিটিশন করেছি, পরিষ্কার বলেছি আমাদের ডিএ দেওয়া হচ্ছে না সে ব্যাপারে। সরকার এখন ভয় পাচ্ছে এম-এ মামলা সঞ্জয় কারোলের বেঞ্চে যাওয়ার। জানে যদি এই মামলা সেখানে যায় তাহলে সরকারের কপালে অশেষ দুঃখ আছে। আমাদের আইনজীবীরা জানিয়েছেন, ১৪ জুলাই থেকে ৪ আগস্ট, এই সময়ের মধ্যে আদালত অবমাননার মামলাটির শুনানি করা যায় কিনা সে ব্যাপারে চেষ্টা করবেন। যদিও সেটা মহামান্য আদালতের ওপর নির্ভর করবে।’
আরও পড়ুনঃ বকেয়া DA দেওয়ার আগেই বেতন বৃদ্ধি! বড় সিদ্ধান্তের পথে রাজ্য সরকার
সরকারকে তীব্র আক্রমণ সরকারি নেতার
পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে বিঁধে তিনি জানালেন, রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে যে পিটিশন দাখিল করেছে সেটা এক কথায় পরস্পরবিরোধী। একবার বলছে টাকা নেই, একবার বলছে ট্রাইব্যুনাল যে নির্দেশ দিয়েছে ডিএ প্রদান করার সেটা অ্যানালিসিস করতে হবে তারপর দেওয়া যাবে। আমাদের ডাকো, আমরা বুঝিয়ে দিতে তৈরি, কিন্তু আমাদের পাত্তা দেয়নি। আমাদের মনে হয়, সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে এই মামলায় দেরি করিয়ে করিয়ে ভোট অবধি নিয়ে যেতে চায়।’
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |