শান্তনু সেন ডিগ্রি মামলায় হাইকোর্টে ঘুরে গেল খেলা, বড় রায় বিচারপতি সিনহার

Published on:

Santanu Sen

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: অবশেষে স্বস্তি শান্তনু সেনের! বিদেশি ডিগ্রি বাতিল মামলায় এবার বড় রায় প্রদান করল কলকাতা হাইকোর্ট। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ মেডিক্যাল কাউন্সিল শান্তনু সেনের ডাক্তারি রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, তা খারিজ করে দিল আদালত।

গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন Join Now

অর্থাৎ শান্তনু সেনের সাসপেনশন সাসপেনশন বাতিল করা হল। রাজ্যের তরফে রেজিস্ট্রেশন বাতিল হওয়ার পর কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন চিকিৎসক-নেতা শান্তনু। আজ, সোমবার সেই মামলার শুনানি বের হল।

ঘটনাটি কী?

পশ্চিমবঙ্গ মেডিক্যাল কাউন্সিলের সভাপতি এবং তৃণমূল বিধায়ক সুদীপ্ত রায় অভিযোগ করেছিলেন যে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন মুখপাত্র তথা চিকিৎসক নেতা শান্তনু সেনের মেডিকেল ডিগ্রি নাকি বৈধ নয়। এই অভিযোগের ভিত্তিতে মেডিক্যাল কাউন্সিল চলতি মাসে শান্তনু সেনের ডাক্তারি রেজিস্ট্রেশন বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়।

বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে Join Now

জানা গিয়েছে, দু’বছরের জন্য সাসপেন্ড করা হয় শান্তনু সেনকে। তখনই শান্তনু সেন দাবি করেন যে তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে এবং তিনি পাল্টা এই বিষয়ে স্বাস্থ্য সচিবকে চিঠি দিয়ে তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করেছেন।

মামলা দায়ের করেন শান্তনু সেন

সেই চিঠিতে শান্তনু সেন বলেন, “আমার অনেক কিছু বলার ছিল। আমি যদি শুনানির সুযোগ পাই, তবে সব কিছু স্পষ্ট করে বলব।” এরপর শান্তনু সেন মেডিক্যাল কাউন্সিলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন, এবং বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চ তাঁর আবেদন গ্রহণ করে। আজ অর্থাৎ সোমবার কলকাতা হাই কোর্টে সেই মামলার শুনানি ছিল। জানা গিয়েছে, এদিন হাইকোর্ট শান্তনু সেনের পক্ষে রায় প্রদান করে।

মেডিক্যাল কাউন্সিলের নির্দেশ খারিজ আদালতের!

আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে যে বিচারপতি অমৃতা সিনহা পর্যবেক্ষণে বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা ওরফে চিকিৎসক শান্তনু সেনের বিরুদ্ধে মেডিক্যাল কাউন্সিল যে নির্দেশ দিয়েছিল তা সম্পূর্ণ খারিজ করে দেওয়া হল। এদিন বলা হয়েছে, শান্তনু সেনকে যে কারণে সাসপেন্ড করা হল, তার কোনো উল্লেখ নেই। এমনকি মূল অভিযোগ কী, তাও জানানো হয়নি। তাই এসবের ভিত্তিতে বিচারপতি স্পষ্ট জানিয়েছেন যে, লেটার হেডে ডিপ্লোমা ফেলোশিপ হিসেবে পরিচয় দিতে হবে শান্তনু সেনকে। সেক্ষেত্রে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল চাইলে আইনি পথে হাঁটতে পারে।

আরও পড়ুন: পড়ুয়াদের হতাশা দূর করতে নয়া উদ্যোগ IIT খড়্গপুরের! আসছে ‘বিকল্প মা’

কী জানালেন বিচারপতি?

এছাড়াও এদিনের মামলার শুনানিতে হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা আরও জানিয়েছেন যে, মামালকারীকে (শান্তনু সেন) শুনানির সুযোগ দিতে হবে। তাঁকে নিজের বক্তব্য জানানোর সময় দেওয়া হোক। এদিকে আজকের এই রায় শান্তনু সেনের ডাক্তারি পেশায় ফিরে আসার পথ আরও উজ্জ্বল করে তুলেছে।

এমনকি ডাক্তারি পেশায় যে কলঙ্ক লেগেছিল সেটিও আজ ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গিয়েছে রায় প্রদানের মাধ্যমে, শুধু তাই নয় তাঁর রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের উপরও ইতিবাচক প্রভাব পড়তে চলেছে।

গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্যJoin Group
চাকরির খবরের জন্যJoin Hood Jobs
রাশিফলের জন্যJoin Hood Rashifal
খেলার খবরের জন্যJoin Whatsapp
সঙ্গে থাকুন ➥
Join Group