প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: ফের টাটা গোষ্ঠীর আগমন বঙ্গের মাটিতে! গড়বে নয়া শিল্প প্রতিষ্ঠান! একসময় মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের আমলে টাটা গোষ্ঠীর মোটরগাড়ি কারখানাকে ঘিরেই সিঙ্গুরে জমি আন্দোলনে তীব্র আকার ধারণ করেছিল। যার মূল নেতৃত্বে ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে বর্তমান পরিস্থিতি এখন সম্পূর্ণ পরিবর্তন হয়েছেন।
এখন জমি নীতি আরও সরল হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর আমলে। অনেক সহজে এরাজ্যে শিল্পের জন্য জমি এবং যাবতীয় পরিকাঠামোর সুযোগ পাচ্ছে শিল্পপতিরা। আর এই আবহে গতকাল অর্থাৎ বুধবারই কলকাতা এলেন দেশের অন্যতম বড় শিল্প সংস্থা টাটা সন্সের চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরন। দীর্ঘ বৈঠক হয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে।
নবান্নে টাটা সন্সের চেয়ারম্যান!
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ বুধবার, টাটা গোষ্ঠীর কর্ণধার এন চন্দ্রশেখরণ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেন। ইতিমধ্যেই নবান্নে টাটা গোষ্ঠীর কর্ণধারকে মুখ্যমন্ত্রী মমতার উত্তরীয় পরানোর ছবি প্রকাশ্যে আনা হয়েছে সর্বভারতীয় তৃণমূলের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডল থেকে।
Smt. @MamataOfficial welcomed Shri Natarajan Chandrasekaran, Chairman of Tata Sons.
Their conversation centred on deepening the Tata Group’s presence in the state, underscoring Bengal’s emergence as a preferred destination for forward-looking industry leaders. pic.twitter.com/faJq00FMSk
— All India Trinamool Congress (@AITCofficial) July 9, 2025
সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। কিন্তু সেই বৈঠকে টাটা গোষ্ঠীর কর্ণধারের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তা জানা যায়নি। মমতা বা চন্দ্রশেখরণও এ বিষয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলেননি।
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনালাপ টাটা গোষ্ঠীর কর্ণধারের!
চলতি বছর পশ্চিমবঙ্গে, বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে রিলায়্যান্স, জিন্দল, আরপিএসজি-সহ দেশের প্রথম সারির শিল্পগোষ্ঠীর মুখ্য শিল্পপতিরা যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন না টাটা গোষ্ঠীর প্রথম সারির কোনো সদস্য। তা নিয়ে অনেক জলঘোলা তৈরি হয়েছিল।
যদিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই জানিয়েছিলেন যে সম্মেলনে না আসাতে পারা নিয়ে টাটা গোষ্ঠীর কর্ণধারের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছিল। সেখানে তিনি জানিয়েছিলেন, বিশেষ কারণে তিনি BSBS আসতে পারছেন না। টাটারা বাংলার জন্য অনেক কিছু করতে চায়।
আরও পড়ুন: পুজোর আগেই বাড়তে পারে ৪% ডিএ! সরকারি কর্মীদের জন্য বিরাট সুখবর
পুজোর পরেই রাজ্যে শিল্প বাণিজ্য
প্রসঙ্গত, পুজোর পরেই রাজ্যে হতে চলেছে শিল্প বাণিজ্য কনক্লেভ। গত মঙ্গলবার, বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের পরে গঠিত স্টেট লেভেল ইনভেস্টমেন্ট সিনার্জি কমিটির সঙ্গে পর্যালোচনা বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকেই মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শমতো আটটি বিশেষ শিল্পক্ষেত্র বাছাই করা হয়।
মূল উদ্দেশ্য গুলি হল শিল্পগুলির বিকাশ, কর্মসংস্থান, রপ্তানি ক্ষেত্রে ক্ষমতা বৃদ্ধি, রাজ্যের প্রাকৃতিক সম্পদের ক্ষেত্রে সুবিধা এবং আয় বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করা। এবার দেখার পালা রাজ্যে শিল্পবিপ্লব কতটা আগ্রাসী ভূমিকা পালন করে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |