সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: দেশে রান্নার গ্যাস বা এলপিজি আমদানির (LPG Import) ক্ষেত্রে এবার বিরাট পরিবর্তন আসতে চলেছে। হ্যাঁ, এতদিন পর্যন্ত মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর উপর নির্ভর করেই মূলত ভারত সরকার গ্যাস আমদানি করত। তবে 2026 সাল থেকে সেই ছবি বদলাতে চলেছে।
সূত্র বলছে, আগামী বছর থেকে ভারতের রান্নার গ্যাস আমদানির প্রায় 10 শতাংশ আসবে আমেরিকা থেকে। আর এই সিদ্ধান্ত শুধুমাত্র ভারত-আমেরিকার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্কের উন্নতি নয়, বরং এলপিজি সরবরাহের দিক থেকেও বিরাট বড় উদ্যোগ।
যুক্তরাষ্ট্রের দিকে ঝুঁকছে ভারত
এলপিজি মূলত প্রোপেন এবং বিউটেন গ্যাসের মিশ্রণ। ভারতের ঘরে ঘরেই রান্নার জন্য এই গ্যাস ব্যবহৃত হয়। আর বর্তমানে বছরে প্রায় 20.5 মিলিয়ন মেট্রিক টন এলপিজি আমদানির 90 শতাংশ সৌদি আরব, কুয়েত এবং কাতারের মতো মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে আসে বলে খবর। তবে ভবিষ্যতে ঝুঁকি কমাতে এবং সরবরাহ বাড়াতে ভারত এবার আমেরিকার দিকে পা বাড়াচ্ছে।
কেন হঠাৎ আমেরিকা?
আসলে গত কয়েক বছর ধরে ভারত তার জ্বালানি আমদানির জন্য আমেরিকার উপরে নির্ভর করছে। এ বছর আমেরিকা থেকে ভারতের অপরিশোধিত তেলের আমদানি প্রায় দ্বিগুণ করা হয়েছে। আর দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তিতে 20 বিলিয়ন ডলারের বেশি এনার্জি আমদানির কথাও বলা হয়েছে। পাশাপাশি 2030 সালের মধ্যে ভারত-আমেরিকা দ্বীপাক্ষিক বাণিজ্যে 500 মিলিয়ন ডলার পৌঁছানোর লক্ষ্যমাত্র নেওয়া হয়েছে।
বেশ কিছু বিশেষজ্ঞ বলছে, সম্প্রতি চিন আমেরিকার প্রোপেন গ্যাসের উপর 10 শতাংশ আমদানি শুল্ক বসিয়েছে। আর এর ফলে আমেরিকায় গ্যাসের চাহিদা হু হু করে কমছে। আর এই সুযোগকেই কাজে লাগাতে চাইছে ভারত। কারণ যেহেতু চিনের জন্য আমেরিকার এলপিজির রপ্তানির বাজারে ভাটা পড়েছে, তাই ভারত কম খরচে আমেরিকা থেকে এলপিজি কিনতে পারবে। এতে অর্থনৈতিক সুবিধাও হবে।
আরও পড়ুনঃ বঙ্গে বিনিয়োগের আশা, নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ টাটার চেয়ারম্যানের
তবে আগে আমেরিকা থেকে এলপিজি আমদানির ক্ষেত্রে সবথেকে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল জাহাজের পরিবহন খরচ। তবে সরকার এবার সেই খরচ কমাতে চলেছে। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানিকৃত প্রোপেন এবং বিউটনের উপরও আমদানি শুল্ক বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জানিয়ে রাখি, ভারতের তিনটি প্রধান রাষ্ট্রীয় জ্বালানি সংস্থা ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন, ভারত পেট্রোলিয়াম এবং হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়াম ইতিমধ্যেই 2026 সালের জন্য আমেরিকা থেকে এলপিজি আমদানি করার পরিকল্পনা শুরু করে দিয়েছে। এমনকি দেশে এলপিজি’র বার্ষিক চাহিদা প্রায় 5 থেকে 6% বাড়ছে। ফলে 2026 সালে মোট আমদানি দাঁড়াতে পারে প্রায় 22-23 মিলিয়ন টন।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |