বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: ভারতের এক পদক্ষেপেই ফের পাকিস্তানের কপালে চিন্তার ভাঁজ বাড়ল। জানা যাচ্ছে, জম্মু ও কাশ্মীরে খরচের জন্য এবার বিশ্ব ব্যাঙ্কের কাছে 3,119 কোটি টাকার ঋণ নিতে চলেছে ভারত সরকার। আর কেন্দ্রের এমন পদক্ষেপেই মাথায় হাত পড়েছে পশ্চিমের পড়শির।
একে সিন্ধু জল বন্টন চুক্তি স্থগিত হওয়ায় কেঁদে কেটে এক হয়েছে পাকিস্তান! তার ওপর আবার জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে ভারতের নতুন পরিকল্পনা, আর এই চাপ নিতে পারছে না ইসলামাবাদ! কিন্তু প্রশ্নের বিষয়, কী হবে এত টাকা দিয়ে? কোন খাতে বিনিয়োগ করা হবে 3,119 কোটি?
পাকিস্তানের চিন্তা বাড়িয়ে বড় প্ল্যান তৈরি করল মোদি সরকার
জানা যাচ্ছে, জম্মু ও কাশ্মীরে ব্যয় করতেই বিশ্ব ব্যাঙ্কের কাছ থেকে 3,119 কোটি টাকার ঋণ নিচ্ছে কেন্দ্র। আপাতত যা খবর, কিশতওয়ার জেলায় চেনাব নদীর ওপর কৌশলগতভাবে কোয়ার বাঁধ তৈরির পরিকল্পনা কেন্দ্রের বহুদিনের, এবার সেই সিদ্ধান্তকে বাস্তবায়িত করতেই হাজার হাজার কোটি টাকার ঋণ পাচ্ছে মোদি সরকার!
বিশেষজ্ঞদের মতে, কোয়ার বাঁধ নিয়ে কেন্দ্রের এই প্রকল্প পাকিস্তানের মাথাব্যথার কারণ হতে চলেছে! কেননা, এই বাঁধটি একটি গ্রিনফিল্ড স্টোরেজ এবং জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের অংশ। অভিজ্ঞদের মতে, চেনাবের ওপর সফলভাবে এই বাঁধ তৈরি হয়ে গেলে তা আগামী দিনে নদীর জলপ্রবাহে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে। যদিও এতে লাভের লাভ হবে ভারতের। কেননা, এই বাঁধের হাত ধরেই 540 মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হবে। খোঁজ নিয়ে জানা গেল, বিশ্ব ব্যাঙ্কের তরফে 3,119 কোটি টাকা তোলার প্রক্রিয়া চললেও এই বাঁধটি তৈরি করতে কেন্দ্রের খরচ পড়বে, কমপক্ষে 4,526 কোটি টাকা।
চাপে পড়বে পাকিস্তান?
পাকিস্তানের সাথে সিন্ধু জল চুক্তি নিয়ে আগের অবস্থানেই অনড় ভারত। ওদেশ থেকে একের পর এক আবেদন আসা সত্ত্বেও পুরনো অবস্থান থেকে এক চুলও সরে দাঁড়ায়নি দিল্লি। এমতাবস্থায়, পড়শির প্রতি দরদ দেখানো তো দূর বরং চেনাব নদীতে বাঁধ তৈরি করে নিজের আখের গুছিয়ে নিতে চাইছে ভারত, আর সেটাই কাম্য।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সিন্ধুর জল নিয়ে বেহাল দশার মাঝে ভারতের এই নয়া বাঁধ প্রকল্প পাকিস্তানকে সজোরে আঘাত করবে! কেননা, চেনাব সিন্ধুর প্রধান উপনদী, এবং এই নদীর ওপর পাকিস্তান প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে নির্ভরশীল। কাজেই, কোয়ার বাঁধ তৈরির খবর পেতেই পাকিস্তান যে ফোঁস করে উঠবে সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না।
অবশ্যই পড়ুন: ১৫ জুলাই ভারতে টেসলার প্রথম শোরুম উদ্বোধন, স্টারলিংক নিয়েও বড় ঘোষণা করতে পারেন মাস্ক
উল্লেখ্য, 2022 সালের 24 এপ্রিল প্রথমবারের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। ভবিষ্যতে জম্মু ও কাশ্মীরের অঞ্চলগুলিতে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্যই এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে উঠে পড়ে লেগেছে কেন্দ্র। শোনা যাচ্ছে, জোরকদমে কাজ চালিয়ে 2027 সালের মধ্যে প্রকল্পটি শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে মোদি সরকার।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |