প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: ফের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রীর উপর যৌন হেনস্থার গুরুতর অভিযোগ উঠে এল খাস কলকাতায়! আরজি কর কাণ্ডের পর ১ বছরও কাটেনি। একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা ঘটেই চলেছে। কিছুদিন আগেই কসবার ল’ কলেজে প্রাক্তন ছাত্র নেতার বিরুদ্ধে উঠে এসেছে ধর্ষণের অভিযোগ। আর সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের আরও একবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠল জোকার ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট কলকাতাতে।
ঘটনাটি কী?
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা এই ঘটনায় অভিযোগ জানিয়েছে যে, কলেজে কাউন্সেলিংয়ের নাম করে তাঁকে ডাকা হয়। সেখানে পৌঁছালে তাঁকে ফের অন্য কাজে দরকার আছে বলে বয়েজ হস্টেলে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর তাঁকে বয়েজ হোস্টেলে পিৎজা ও কোল্ড ড্রিংক খেতে দেওয়া হয়। সেই খাবার খেয়েই তিনি আচ্ছন্ন হয়ে পড়েন।
সেই সুযোগে অভিযুক্ত তাঁর উপর শারীরিক নির্যাতন করে। রীতিমত ধর্ষণ করা হয় তাঁকে। যখন সেই নির্যাতিতার সম্বিৎ ফেরে , তখন সে দেখে যে বয়েজ হস্টেলে পড়ে রয়েছেন তিনি। তখন তিনি ঠাকুরপুকুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
গ্রেফতার অভিযুক্ত পড়ুয়াকে
কিন্তু ঠাকুরপুকুর থানার থেকে পুলিশ তাঁকে হরিদেবপুর থানায় নিয়ে আসে। সেখানে অভিযোগ দায়ের করার সঙ্গে সঙ্গেই গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার গভীর রাতে হরিদেবপুর থানার পুলিশ, ক্যাম্পাসে পৌঁছয়। সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজ ভালো করে খতিয়ে দেখা হয় এবং বিভিন্নতথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করা হয়।
এরপরই গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রকে। ছাত্রছাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গেও কথা বলছেন তদন্তকারীরা।
উঠছে একাধিক প্রশ্ন
এদিনের ধর্ষণ কাণ্ডের গোটা ঘটনায় কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠে আসছে। যার মধ্যে অন্যতম হল বয়েজ হোস্টেলে নিরাপত্তারক্ষীদের ভূমিকা। কারণ এদিনের ঘটনাকে ভিত্তি করে পুলিশকে নির্যাতিতা ছাত্রী জানিয়েছিল যে, তাঁকে বয়েজ হস্টেলের রেজিস্টারে সই করতে দেওয়া হয়নি।
এখানেই প্রশ্ন উঠছে, কীভাবে রেজিস্টারে সই না করিয়েই এক ছাত্রীকে ভেতরে ঢুকতে দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হল। তবে কি সবটাই প্রি প্ল্যান? গোটা ঘটনায় প্রশ্নের মুখে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
আরও পড়ুন: বাংলা সহায়তা কেন্দ্রে ই-ওয়ালেট লেনদেন ছুঁল ১,০০০ কোটি! অভিনন্দন মমতার
উল্লেখ্য দেশের অন্যতম প্রধান কেন্দ্রীয় বাণিজ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হল IIM কলকাতা। বছরের পর বছর ধরে এই প্রতিষ্ঠান ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষার মানের দিক থেকে বড় ভূমিকা পালন করে এসেছে। কিন্তু এবার সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রশ্ন উঠে এল ছাত্র ছাত্রীদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে।
যদিও এ ব্যাপারে IIM কলকাতা প্রশাসনের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি। ঘটনার দ্রুত এবং নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানাচ্ছেন নির্যাতিতার সহপাঠীরা।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |