কোনও ধর্ষণই হয়নি! IIM জোকা কাণ্ডে বিরাট দাবি নির্যাতিতার বাবার

Published on:

Victim's father makes huge claim about IIM Joka case

বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: তরুণীর তরফে ধর্ষণের অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করে হরিদেবপুর থানা। গ্রেফতার করা হয় এক অভিযুক্তকে। তবে সেই ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বদলে গেল চিত্র।

গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন Join Now

শোনা যাচ্ছে, IIM জোকা কাণ্ডে নির্যাতিতার বাবা দাবি করেছেন, কোনও ধর্ষণই নাকি হয়নি। তরুণীকে জোর করে এফআইআর করতে বলা হয়েছিল বলেই জানান তিনি। এদিকে পুলিশের বক্তব্যের সাথে নির্যাতিতার বাবার বয়ানে অসঙ্গতি থাকায় নতুন করে জল গড়াল অন্য খাতে।

বড় দাবি নির্যাতিতার বাবার!

খোঁজ নিয়ে জানা গেল, IIM জোকা ধর্ষণ কাণ্ডে সদ্য নির্যাতিতার বাবা বয়ান দিয়েছেন, তাঁর মেয়ের সাথে তেমন কোনও ঘটনাই ঘটেনি। ওই ব্যক্তি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, কোনও ধর্ষণই নাকি হয়নি। এদিন ঘটনা প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখতে গিয়ে নির্যাতিতার বাবা বলেছিলেন, রাত 9টা 34 নাগাদ মেয়ের ফোন আসে। জানতে পারি গাড়ি থেকে পড়ে জ্ঞান হারিয়ে গিয়েছে ওর। প্রথমে লোকেশন টা বুঝে উঠতে না পারায় খুঁজতে খুঁজতে ফোনে দেখানো ঠিকানায় পৌঁছে গিয়েছিলাম। তবে সেখানে ও ছিলনা।

বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে Join Now

দীর্ঘ খোঁজাখুঁজির পর জানতে পারি ও পিজিতে রয়েছে। এদিকে লোকেশন দেখাচ্ছে শম্ভুনাথ পণ্ডিত স্ট্রিট। পরে জানা যায় মেয়েকে হরিদেবপুর থানায় রেসকিউ করে রাখা হয়েছে। সেখানে পৌঁছে পুলিশের সাথে কথা বলতেই পুলিশ কর্তাদের তরফে নাকি জানানো হয়, অভিযোগ জমা পড়েছে। পরে মেয়ের সাথে নাকি কথা বলে জানতে পারেন, পুলিশের তরফে এফআইআর করা হয়েছে।

তবে তাঁর সাথে সেরকম কিছু ঘটেনি। সবশেষে ওই ব্যক্তি জানান, তাঁর মেয়ে নাকি দাবি করেছিলেন, পুলিশের তরফে বলা হয়েছিল মেডিক্যাল করাতে গিয়ে এই কথাগুলো বলবেন… সবশেষে নির্যাতার বাবা দাবি করেছেন, একেবারে জোর করেই তাঁর মেয়েকে দিয়ে অভিযোগ লিখিয়ে নেওয়া হয়েছে!

অবশ্যই পড়ুন: বাড়ছে মেট্রো! যাত্রীদের সুবিধার্থে জোকা-মাঝেরহাট মেট্রো নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত

তরুণীর অভিযোগ

পেশায় মনোবিদ ওই নির্যাতিতা দাবি করেছিলেন, IIM জোকার দ্বিতীয় বর্ষের ম্যানেজমেন্ট পড়ুয়ার সাথে তার আলাপ হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। এরপর কর্মসূত্রে ওই পড়ুয়ার কাউন্সিলিং করাতে তাঁর হোস্টেলে যান তিনি। জানা যায়, তরুণী হোস্টেলে পৌঁছানোর পর সেখানে তাঁর জন্য মধ্যাহ্নভোজের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সূত্রের খবর, সেখানে খাবারের পাশাপাশি মাদক মেশানো জল খাইয়ে ওই তরুণীকে অজ্ঞান করা হয়।

পরবর্তীতে নাকি রাত 8 টার পর হুঁশ ফিরে ছিল ওই নির্যাতিতার। তরুণীর অভিযোগ, তাঁকে প্রথমে শৌচালয়ে যেতে বাধা দেওয়া হয়েছিল, এমনকি ওই যুবকের বিরুদ্ধে মারধরেরও অভিযোগ তুলেছেন তিনি। পরবর্তীতে তরুনীর অভিযোগের ভিত্তিতে ওই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে হরিদেবপুর থানার পুলিশ। বর্তমানে তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় রুজু হয়েছে মামলা।

গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্যJoin Group
চাকরির খবরের জন্যJoin Hood Jobs
রাশিফলের জন্যJoin Hood Rashifal
খেলার খবরের জন্যJoin Whatsapp
সঙ্গে থাকুন ➥
Join Group