২০২৫ সালে ছট পূজা কবে পড়ছে? দেখুন তিথি-নক্ষত্র, দিনক্ষণ ও উপবাসের নিয়ম

Published:

Chhath Puja 2025
Follow

সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: গোটা বছর ধরে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেন ছট পূজার (Chhath Puja 2025) জন্য। আর এই ছট পূজা শুধুমাত্র কোনো উৎসব নয়, বরং বিশ্বাস, আধ্যাত্মিক এবং নিষ্ঠার প্রতীক। বিশেষ করে বিহার, ঝাড়খন্ড, উত্তরপ্রদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গের মানুষজনদের কাছে এই উৎসবের জনপ্রিয়তা আকাশছোঁয়া। 

বর্তমান সময়ে বিদেশে থাকা ভারতীয়রাও এই পূজা ভক্তি সহকারে পালন করেন। কিন্তু এবছর কবে পড়ছে ছট পূজা? পূজার নিয়মই বা কী রয়েছে? সবটা রইল আজকের প্রতিবেদনে।

ছট পূজা 2025 কবে? | Chhath Puja 2025 Date And Time |

হিন্দু পঞ্জিকা ঘেঁটে জানা যাচ্ছে, ছট পূজা প্রতি বছর কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের চতুর্থী থেকে সপ্তমী তিথির মধ্যে পালিত হয়। আর সেই সূত্র ধরে, এবছর অর্থাৎ 2025 সালে ছট পূজা শুরু হবে 25 অক্টোবর আর শেষ হবে আগামী 28 অক্টোবরে সূর্য দেবতাকে প্রভাতের অর্ঘ্য প্রদানের মাধ্যমে।

ছট পূজার গুরুত্ব

ছট পূজায় মূলত সূর্য দেবতা পূজিত হন। পাশাপাশি সূর্যদেবের বোন বলে বিবচিত হয় ছঠি মাইয়া। ধর্মশাস্ত্র বলছে, ছঠি মাইয়া হলেন ব্রহ্মার মানস কন্যা, যিনি সন্তানদেরকে রক্ষা করেন, আর আশীর্বাদ দেন। সূর্যদেব আবার ধন, স্বাস্থ্য এবং জীবনের শক্তি প্রদান করেন। তাই এই পূজার মাধ্যমে ভক্তরা তাদের পরিবারের সুখ-শান্তি এবং বিশেষ করে সন্তানদের জন্য মঙ্গল কামনা করেন।

ছট পূজার চারদিন কীভাবে পালন করা হয়?

প্রথম দিন, 25 অক্টোবর

এই দিন উপবাস পালনকারী মহিলারা গঙ্গা বা পবিত্র নদীতে স্নান করেন। তারপর একবেলা নিরামিষ খাওয়ার গ্রহণ করেন। এরকম ভাবে পালন একপ্রকার আত্মশুদ্ধির জন্যই।

দ্বিতীয় দিন, 26 অক্টোবর

এদিন সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত জল গ্রহণ করা যায় না। হ্যাঁ, একদম নির্জলা থাকতে হয়। আর সূর্যাস্তের পর গুঁড়, খিছুড়ি, দুধ বা গুড়ের রুটি উৎসর্গ করে উপবাস ভাঙতে হয়।

তৃতীয় দিন, 27 অক্টোবর

ছট পূজার লগ্নে এই দিনটি সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ মহিলারা এদিন নদীর ধারে দাঁড়িয়ে অস্তগামী সূর্যকে অর্ঘ্য প্রদান করেন। এদিন মূলত দিনভর নির্জলা উপবাস পালন করতে হয়।

আরও পড়ুনঃ ২০২৫ সালে কবে পড়ছে কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা? দেখে নিন পূর্ণিমার সময়সূচি, দিনক্ষণ, পূজার নিয়ম

চতুর্থ দিন, 28 অক্টোবর

ছট পূজার শেষ দিনে উদিত সূর্যকে অর্ঘ্য প্রদান করে উপবাস ভাঙতে হয়। আর এই দিনটি ভক্তদের মনে সবথেকে বেশি আধ্যাত্মিক এবং আবেগ জড়িয়ে থাকে।

চার দিনের এই কঠোর নিয়ম, উপবাস, নদীতে দাঁড়িয়ে অর্ঘ্যপ্রদান, সবকিছুই সেই আবহ ও বিশ্বাস থেকেই হয়ে আসছে। কেউ সন্তান লাভের আশায়, আবার কেউ সন্তানের মঙ্গল কামনায় কিংবা কেউ নিঃস্বার্থ ভক্তির টানেই সূর্য দেবতাকে পূজা করেন…

গুরুত্বপূর্ণ
Join
চাকরির খবর
Join
রাশিফল
Join
খেলার খবর
Join