প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: গাজায় ইজরায়েলের আক্রমণ ও গণহত্যার প্রতিবাদে কর্মসূচি করতে গিয়ে আদালতের মুখ ঝামটা খেল CPIM! অন্য দেশের সমস্যা নিয়ে মামলা করায় বম্বে হাইকোর্টের বিচারপতির ক্ষোভের মুখে পড়ল এই রাজনৈতিক দল। কয়েক হাজার কিলোমিটার দূরের গাজা নিয়ে বিক্ষোভ দেখানোর বদলে দেশের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে কথা বলার পরামর্শ দিল বম্বে হাইকোর্ট। এদিকে রায় নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য এবং সিপিএম।
গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদ মিছিল নিয়ে মামলা
Live Law-র রিপোর্ট অনুযায়ী, গাজায় ইজরায়েলের আক্রমণ ও গণহত্যার প্রতিবাদে মুম্বইয়ের আজাদ ময়দানে বিক্ষোভ কর্মসূচির অনুমতি চেয়েছিল সিপিএম। কিন্তু মুম্বই পুলিস সেই কর্মসূচির অনুমতি দেয়নি। বিষয়টি নিয়ে বম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় সিপিএম। কিন্তু বিচারপতি রবীন্দ্র ঘুগে ও বিচারপতি গৌতম অখণ্ডের ডিভিশন বেঞ্চ সেই আবেদন খারিজ করে দেয়।
CPIM-কে কটাক্ষ বিচারপতির
গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার, ২৫ জুলাই বম্বে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলা উঠলে CPIM এর আইনজীবীর দাবি ছিল গাজায় গণহত্যার পরিস্থিতিতে সমাজে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে, নিরস্ত্র নারী, শিশু, বৃদ্ধদের নির্বিচারে হত্যা করছে ইজরায়েল। মদত দিচ্ছে আমেরিকা। সেই আক্রমণ বন্ধ করার দাবিতে তার বিরুদ্ধেই এই প্রতিবাদ। কিন্তু হাইকোর্ট একদমই CPIM এর এই প্রতিবাদ মেনে নিতে পারেনি, আদালতের পর্যবেক্ষণ ভারতের কেন্দ্রীয় বিদেশনীতি থেকে ভিন্ন অবস্থান গ্রহণ করলে তা দেশের কূটনৈতিক ভারসাম্যকে বিপন্ন করবে এবং ভারত সরকারের আন্তর্জাতিক অবস্থানকে অস্বস্তিতে ফেলতে পারে।
দেশকে নিয়ে ভাবার পরামর্শ আদালতে
এছাড়াও হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ এদিন জানিয়েছে, “আমাদের দেশে যথেষ্ট ইস্যু আছে। আমরা এরকম কিছু চাই না। আমি দুঃখিত। কিন্তু আপনারা একেবারেই দূরদর্শী নন। আপনারা গাজা ও প্যালেস্টাইনের ইস্যু নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন। এদিকে নিজের দেশের দিকে দেখুন। দেশভক্ত হয়ে উঠুন। কিন্তু গাজায় গণহত্যার এই ঘটনাটি দুঃখজনক হলেও তার প্রতিবাদ এটা দেশভক্তি নয়।” যদিও বিক্ষোভ কর্মসূচির অনুমতি না দেওয়ার ক্ষেত্রে পাল্টা মহারাষ্ট্র সরকারের আইনজীবী জানান, বিক্ষোভ কর্মসূচি চলাকালীন আইনশৃঙ্খলাজনিত সমস্যা হতে পারে তাই কর্মসূচির অনুমতি দেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন: বেহাল রাস্তার দশা ফিরবে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে, Whatsapp নম্বর চালু করল রাজ্যের পূর্ত দপ্তর
এদিন সিপিআইএম এর মামলা খারিজ করার পাশাপাশি হাইকোর্টের বিচারপতি রবীন্দ্র ঘুঙে এবং বিচারপতি গৌতম অখণ্ডের ডিভিশন বেঞ্চ পরামর্শ দিয়েছে যে, “দেশে এখনও অনেক জায়গায় আবর্জনা পরিষ্কার, নিকাশি ব্যবস্থা, বন্যার মতো বিভিন্ন জেদি সমস্যা রয়েছে সেগুলির দিকে নজর দেওয়া উচিত। সেক্ষেত্রে হাজার-হাজার মাইল দূরের বিষয় নিয়ে মাথা ঘামানোর পরিবর্তে ভারতের ইস্যুগুলির দিকে নজর দেওয়া উচিত সিপিআইএমের।”
অন্যদিকে আদালতের রায়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন সিপিএমের রাজ্যসভার সদস্য বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তিনি জানিয়েছেন, দেশপ্রেমের কথা বলে গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে কর্মসূচি করতে না দেওয়া লজ্জাজনক। বিচারপতিদের সম্ভবত মানবাধিকার ও ভারতের সংবিধান সম্পর্কে সাধারণ ধারণাটুকু নেই।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |