বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: এক কৃষকের বার্ষিক আয় মাত্র 3 টাকা! হ্যাঁ, সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া মধ্যপ্রদেশের সাতনা জেলার এক কৃষকের আয়ের শংসাপত্রে এমনটাই লেখা রয়েছে! ইনস্টাগ্রামে সেই ছবি শেয়ার করে মধ্যপ্রদেশ সরকারকে সরাসরি নিশানায় এনেছে বিরোধী দল কংগ্রেস। এদিকে ওই কৃষকের আয়ের শংসাপত্র নিয়ে তহসিলদার আবার বলছেন অন্য কথা!
কৃষকের বার্ষিক আয় নিয়ে তহসিলদারের বক্তব্য
রিপোর্ট অনুযায়ী, গত 22 জুলাই, মধ্যপ্রদেশের সাতনা জেলার এক কৃষকের শংসাপত্র প্রকাশ করা হয়। যেখানে এক বছরে ওই কৃষকের রোজগার 3 টাকা দেখানো হয়েছে। সম্প্রতি সেই ছবি সমাজ মাধ্যমে পোস্ট করেছে বিরোধী দল কংগ্রেস।
ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে ছবিটি পোস্ট করে রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করেছেন হাতের নেতারা! এদিকে আয়ের শংসাপত্র যিনি জারি করেছেন অর্থাৎ রাজস্ব আদায়কারী তহসিলদারের বক্তব্য, মূলত টাইপিং মিসটেকের কারণেই ওই শংসাপত্রে কৃষকের বার্ষিক আয় 30 হাজার টাকার বদলে 3 টাকা হয়ে গিয়েছে।
অবশ্যই পড়ুন: ৫৪ বছরে প্রথম! ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে বুক চিতিয়ে লড়ে ইতিহাস গড়ল গিল-রাহুল জুটি
শাসক দলকে কটাক্ষ কংগ্রেসের
গতকাল কোঠি তহসিলের নাইগাঁওয়ের বাসিন্দা শ্যাম লালের ছেলে রামসরূপের আয়ের শংসাপত্র প্রকাশ্যে আসার পরই সেটি সমাজ মাধ্যমে পোস্ট করে মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস ইউনিট। নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে ওই কৃষকের আয়ের শংসাপত্র পোস্ট করে লেখা হয়, মোহন রাজেই ভারতের সবচেয়ে দরিদ্র ব্যক্তি খুঁজে পাওয়া গেল।
সাতনা জেলায় একটি আয়ের শংসাপত্র জারি করা হয়েছে । যেখানে এক কৃষকের বার্ষিক আয় হিসেবে উল্লেখ রয়েছে মাত্র 3 টাকা। এদিকে তহসিলদারের তরফে টাইপিং মিসটেকের কথা উল্লেখ করলেও থেমে নেই মধ্যপ্রদেশের রাজনৈতিক তরজা।