গন্ধেশ্বরীর জলে ভাসল মানকানালি সেতু, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ৩০ গ্রামের! পুজোর আগে বন্যার আশঙ্কা

Published:

Mankanali Bridge
Follow

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: নিম্নচাপ এবং ভারী বৃষ্টির জেরে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় তৈরী হয়েছে দুর্যোগ পরিস্থিতি। কলকাতার নিচু এলাকাগুলির কোথাও কোথাও জল জমেছে। ব্যাহত হয়েছে ট্র্যাফিক পরিষেবা। বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিট থেকে শুরু করে এমজি রোডের একাংশ থেকে কলেজ স্ট্রিট বাটা মোড়ে জল জমে রয়েছে। পশ্চিমী জেলাগুলির অবস্থা আরও খারাপ। বৃষ্টিতে জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় একের পর এক সেতু ডুবে গিয়েছে জলের তলায়।

জলস্তর বৃদ্ধিতে ডুবল মানকানালি সেতু

প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, দক্ষিণবঙ্গে লাগাতার এই বৃষ্টির কারণে সবচেয়ে বেশি বন্যার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, হাওড়া জেলার কিছু অংশে। আশঙ্কা করা হচ্ছে এই বৃষ্টির পরিমাণ আরো বাড়বে, যার দরুন এলাকায় বন্যা হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। যে সকল নদীতে সবচেয়ে বেশি বন্যার আশঙ্কা রয়েছে, সেগুলি হল দক্ষিণবঙ্গের কংসাবতী, দারকেশ্বর, গন্ধেশ্বরী, শিলাবতী, সুবর্ণরেখা-সহ একাধিক নদী। আর এবার একটানা ভারী বৃষ্টিতে আবার গন্ধেশ্বরী নদীর জলে ডুবল বাঁকুড়া ২ নম্বর ব্লকের মানকানালি সেতু। বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় প্রায় ৩০টি গ্রামের মানুষজন।

৩০টি গ্রামের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

আনন্দবাজারের রিপোর্ট অনুযায়ী, গতকাল অর্থাৎ বুধবার থেকে একটানা ভারী বৃষ্টির জেরে গন্ধেশ্বরী নদীর জলস্তর বাড়তে থাকায় মানকানালি সেতুর উপর প্রায় পাঁচ ফুট উচ্চতায় বইতে শুরু করেছে গন্ধেশ্বরীর জল। এর ফলে সেতু দিয়ে যাতায়াত সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ওই রুটে একাধিক বাস, লড়ি, অটো যাতায়াত করে কিন্তু সেতু ডুবে যাওয়ায় সেই সব যানবাহন চলাচলও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ফলে বাঁকুড়া সদর শহরের সঙ্গে মানকানালি, উখড়াডিহি-সহ বাঁকুড়া ২ নম্বর ব্লকের কমপক্ষে ৩০টি গ্রামের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। এদিকে বিভিন্ন নেতা মন্ত্রী এবং আমলারা উঁচু সেতু নির্মাণের আশ্বাস দিলেও মেলেনি সেই সুবিধা।

আরও পড়ুন: ভিন রাজ্যে বাঙালি হেনস্থায় গর্জে উঠলেন নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেন

উল্লেখ্য, হাওয়া অফিসের তরফে জানা গিয়েছে, গত ২৪ ঘন্টায় বাঁকুড়া জেলায় বৃষ্টি হয়েছে মোট ৭২ মিলিমিটার। এই পরিমাণ আরো বাড়বে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে। বৃষ্টিতে জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে বাঁকুড়া জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া গন্ধেশ্বরী, দ্বারকেশ্বর-সহ কয়েকটি নদীতে। বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে গন্ধেশ্বরী নদীর জলস্তর। আর এইরূপ অবস্থায় জনজীবন ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার ক্ষেত্রেও নানা ব্যাঘাত ঘটছে।

আরওBankuraFlood
গুরুত্বপূর্ণ
Join
চাকরির খবর
Join
রাশিফল
Join
খেলার খবর
Join