বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: শিবকে ভালবাসেন! কিন্তু অফিস, সাংসারিক চাপ সহ বিভিন্ন কারণে শ্রাবণের বিগত সোমবারগুলিতে উপবাস থেকে দেবাদিদেব মহাদেবের পুজো করা হয়নি। সময় করে মন্দিরে গিয়ে শিব লিঙ্গে জলও অর্পণ করতে পারেননি, এমন অনেকেই রয়েছেন। তাতে বেজায় মনও খারাপ ভক্তদের!
তবে অনেকেই হয়তো জানেন না। প্রিয় মাস অর্থাৎ শ্রাবণে ভক্তদের কাছ থেকে দুধ, জল, বেলপত্র সহ অন্যান্য প্রিয় জিনিস পেয়ে মহাদেব খুশি হন ঠিকই! তবে ভক্ত শত সমস্যার মাঝে তাঁর জন্য সময় বের করুক এমনটাও বোধহয় তিনি চান না। আসলে, শ্রাবণের প্রতি সোমবার সময় করে আলাদা ভাবে মন্দিরে গিয়ে শিবের পুজো না করলেও, নিষ্ঠা মেনে নিজের সাধ্যমত শিবকে ডাকলে তাতেই ভক্তদের দুহাত খুলে আশীর্বাদ করেন মহাদেব।
তবে এমন একটি টোটকা রয়েছে, যা ভক্তিভরে পালন করলে ভগবান শিবের আশীর্বাদ বর্ষিত হয় ভক্তদের উপর। কাজেই আসন্ন সোমবার যেহেতু শ্রাবণের শেষ সোমবার, তাই এই দিন প্রিয় দেবতা শিবের জন্য এই বিশেষ টোটকাটি পালন করুন। এতে সংসারে সুখ সমৃদ্ধির পাশাপাশি ভগবান শিবের আশীর্বাদ পাবেন আপনি।!
শ্রাবণের শেষ সোমবারের জন্য বিশেষ টোটকা
নানান কর্মব্যস্ততার মাঝে বিগত সোমবারগুলিতে প্রিয় দেবতা শিবকে সে অর্থে সময় দেওয়া হয়নি? চিন্তার কোনও কারণ নেই। শ্রাবণের শেষ সোমবার সন্ধ্যা বেলায় নিজের কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফিরে একটি বিশেষ কাজ করলেই সন্তুষ্ট হবেন দেবাদিদেব মহাদেব। কী কাজ?
শ্রাবণের শেষ সোমবার, সকাল হোক কিংবা দুপুর অথবা সন্ধ্যা, প্রথমেই বাইরের জামা কাপড় ছেড়ে স্নান করে শুদ্ধ কাপড় পরে নিন। এরপর ঠাকুরের সিংহাসনে থাকা প্রদীপের উপর একটি কর্পূর এবং দুটি লবঙ্গ জ্বালিয়ে তা দিয়ে শিবের আরতি করুন।
অবশ্যই পড়ুন: ‘আমার জানা নেই…’ রাশিয়া প্রসঙ্গে ভারত পাল্টা দিতেই ‘নির্বোধ’ বালক হয়ে উঠলেন ট্রাম্প
বলা বাহুল্য, ভক্তি ভরে শিবকে ডাকার পর। শিবের পছন্দের বেলপত্র, গঙ্গাজল বা দুধ সহ চন্দন, ঘি এবং মধু মিশিয়ে সঠিক নিয়ম মেনে তা মহাদেবের মাথায় ঢালুন। এরপর মাথা ঝুঁকিয়ে শিবকে প্রণাম করুন। তবে মনে রাখতে হবে, শ্রাবণের শেষ সোমবার অর্থাৎ এই বিশেষ দিন ভুলেও আমিষ খাবার খাবেন না। নিরামিষ অথবা খুব ভাল হয় যদি সাবু, ফল কিংবা সেদ্ধ ভাত আহার করা যায়।