প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: তীব্র ভর্ৎসনা দাগিদের! ‘দাগি অযোগ্য’ চাকরিপ্রার্থীদের মামলা এবার পুরোপুরি খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ, এসএসসির তালিকায় হস্তক্ষেপ করার জন্য এটি উপযুক্ত মামলা নয়। তাই পরীক্ষায় বসতে পারবেন না মামলাকারী ‘দাগি’রা। ভবিষ্যতের কথা ভেবে এবার মাথায় চিন্তার হাত পড়ল অযোগ্যদের।
ক্ষুব্ধতা প্রকাশ বিচারপতির
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী SSC দুর্নীতি কাণ্ডে গত শনিবার, ৩০ আগস্ট ‘দাগি অযোগ্য’দের তালিকা প্রকাশ করেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। সেই তালিকায় নাম উঠে এসেছিল ১৮০৬ জনের। এদিকে আগামী ৭ এবং ১৪ সেপ্টেম্বর SSC-র নিয়োগ পরীক্ষা রয়েছে, সেক্ষেত্রে শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মোতাবেক সেই পরীক্ষায় বসতে পারবেন না ‘অযোগ্য’রা। আর তাই সেই নিয়ে ফের দাগিরা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। তাঁদের একটাই দাবি তাঁদের যেন অন্তত পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয়। কিন্তু সেই মামলা নিয়ে এবার ক্ষুব্ধতা প্রকাশ করলেন বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য।
দাগি অযোগ্য’ চাকরিপ্রার্থীদের ভর্ৎসনা!
আনন্দবাজারের রিপোর্ট অনুযায়ী, আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার, ‘দাগি অযোগ্য’ চাকরিপ্রার্থীদের মামলা ওঠে বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের বেঞ্চে। আর মামলা উঠতেই কড়া ভাষায় বিচারপতি ভর্ৎসনা করেন মামলাকারীদের। এবং সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের মামলা খারিজ করে দেওয়া হয়। এদিন বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য প্রশ্ন তোলেন, ‘এত দিন কোথায় ছিলেন? যেই তালিকা প্রকাশ হল, আদালতে চলে এলেন।’ এছাড়াও তিনি আরও বলেন যে, ‘ এই নিয়ে যথেষ্ট হয়েছে আর নয়। সব কিছুর একটা সীমা থাকা দরকার। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে তালিকা প্রকাশের পরে কীভাবে বলতে পারেন দাগি অযোগ্য নন?’
আরও পড়ুন: SSC দুর্নীতি নিয়ে অনুতপ্ত! দলের সহকর্মীদের ‘দায়’ নিয়ে কান ধরে ওঠবস তৃণমূল কাউন্সিলরের
আজ কলকাতা হাইকোর্টে ‘দাগি অযোগ্য’দের তরফে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী অনিন্দ্য লাহিড়ি এবং আইনজীবী শাক্য সেন। তাঁরা বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের কাছে সওয়াল করেন যে, হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ দাগি অযোগ্যর যে সব শর্ত বলেছে, তা এই প্রার্থীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। অর্থাৎ সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি পেলে, প্যানেল বহির্ভূত ভাবে যাঁরা চাকরি পেল এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যানেল থেকে চাকরি প্রাপকদের ডিভিশন বেঞ্চ দাগি অযোগ্য হিসাবে বলেছিল। কিন্তু মামলাকারী চাকরিপ্রার্থীরা এই ‘ক্যাটেগরি’তে পড়েন না বলেই দাবি আইনজীবীর। উল্টো দিকে কমিশনের তরফে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় পাল্টা জবাব দেন, “মামলাকারীরা সকলেই ‘দাগি অযোগ্য’। এটা নিয়ে তর্ক করে লাভ নেই। এই সব প্রার্থীর বিরুদ্ধে ওএমআর শিট কারচুপির অভিযোগ রয়েছে।”
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |