সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: রাশিয়া থেকে তেল (Russian Oil) আমদানি নিয়ে আবারও আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে জোর শোরগোল। বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ দুই বাজার ভারত এবং চিন বর্তমানে রাশিয়া থেকে বিপুল পরিমাণে তেল কিনছে। আর সে কারণেই ক্ষুব্ধ হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি অভিযোগ করছেন, এই দুই দেশ তেল কিনেই রাশিয়ার অর্থনীতিকে সচল রাখছে যা ইউকরেন যুদ্ধের সময় পুতিনের হাতে বাড়তি শক্তি জুগিয়ে দিচ্ছে!
ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে ট্রাম্পের বড়সড় দাবি
Navbharat-র রিপোর্ট মারফৎ খবর, ট্রাম্প সম্প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, আর সেখানে তিনি জানিয়েছেন, ভারত ও চিনের উপর ১০০% শুল্ক আরোপ করা হোক। এর মাধ্যমে রাশিয়ার উপর অর্থনৈতিক চাপ অনেকটাই বাড়বে। এক মার্কিন আধিকারিক এবং একজন ইউরোপীয় অর্থনীতিবিদ এই তথ্য জানিয়েছেন। যদিও তাঁরা তাঁদের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস না করার শর্তে নাম প্রকাশ করেননি।
এদিকে আরেক কূটনীতিবিদ বলছেন, আমেরিকার তরফ থেকে বার্তা দেওয়া হয়েছে যে, ইউরোপ রাজি হলে তারাও ভারত এবং চিনের উপর একই ধরনের কঠোর শুল্ক আরোপ করবে। উল্লেখ্য, এতদিন পর্যন্ত রাশিয়াকে কোণঠাসা করতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের তরফ থেকে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। তবে এবার যদি তারা অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করার পথে হাঁটে, তাহলে কৌশল বদলে যাবে বলেই মনে করছে বেশ কিছু বিশেষজ্ঞ।
ভারতের উপর আগে থেকেই শুল্ক চাপ
প্রসঙ্গত, ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার অর্থনৈতিক সম্পর্কের জন্য আমেরিকা একেবারে উঠে পড়ে লেগেছে। ইতিমধ্যেই ভারতের উপর 50 শতাংশ শুল্ক আরোপ করে দিয়েছে ট্রাম্প, যার কারণে দেশের অর্থনীতি ধুঁকছে। হ্যাঁ, প্রথমবার 25 শতাংশ এবং পরে আরও 25 শতাংশ করে শুল্ক চাপিয়ে আয়েশ করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। যদিও তিনি এখনো আসল পদক্ষেপ নেয়নি যা অনেক আগে নেওয়ার কথা বলেছিলেন।
আরও পড়ুনঃ “বাংলাই বাংলা চালাবে, দিল্লি নয়!” জলপাইগুড়ির সভা থেকে কেন্দ্রকে তোপ মমতার
উল্লেখ্য, ট্রাম্প আরো অভিযোগ করছে যে, ইউরোপ এখনো পুরোপুরি রাশিয়ার জ্বালানির উপর নির্ভরশীলতা কাটাতে পারেনি। সাম্প্রতিক এক পরিসংখ্যান বলছে, মাত্র গত বছরেই ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রায় 19% গ্যাস রাশিয়া থেকে আমদানি করেছিল। যদিও ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলছে, তারা ধাপে ধাপে রাশিয়ার জ্বালানি থেকে সম্পূর্ণভাবে হাত গুটিয়ে নিতে বদ্ধপরিকর। এখন আগামী দিনে আন্তর্জাতিক অঙ্গনের এই পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় সেটাই দেখার।