রামপুরহাটে ৩,১৬৯ কোটির প্রকল্পের অনুমোদন রেলের, ট্রেন সফরের সময় কবে দেড় ঘণ্টা

Published on:

Updated on:

Bhagalpur-Rampurhat Rail Project

সহেলি মিত্র, কলকাতাঃ বাংলার রেল যাত্রীদের জন্য রইল দারুণ সুখবর। এবার কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেটের তরফে বিরাট অনুমোদন দেওয়া হল। বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভাপতিত্বে অর্থনৈতিক বিষয়ক মন্ত্রিসভার কমিটি বিহার, ঝাড়খণ্ড এবং পশ্চিমবঙ্গে ১৭৭ কিলোমিটার বিস্তৃত ভাগলপুর-দুমকা-রামপুরহাট সিঙ্গেল লাইন অংশে এবার ডাবল লাইন করার অনুমোদন (Bhagalpur-Rampurhat Rail Project) দিয়েছে। হ্যাঁ একদম ঠিক শুনেছেন। আরপ বিশদে জানতে চোখ রাখুন আজকের এই প্রতিবেদনটির ওপর।

রামপুরহাটে রেল প্রকল্পে বিরাট অনুমোদন!

জানা গিয়েছে, এই প্রকল্পের মোট ব্যয় ৩,১৬৯ কোটি টাকা। রেলওয়ের একজন মুখপাত্র বলেন, বর্ধিত লাইন ক্ষমতা গতিশীলতা উন্নত করবে, বর্ধিত দক্ষতা এবং পরিষেবা নির্ভরযোগ্যতা প্রদান করবে। অর্থাৎ তারাপীঠ সহ আরও অনেক জায়গায় যাওয়ার সময়সীমা এক ধাক্কায় অনেকটাই কমবে। মুখপাত্র আরও বলেন, মাল্টি-ট্র্যাকিং প্রস্তাবটি কার্যক্রম সহজ করবে এবং যানজট কমাবে, যা ভারতীয় রেলের ব্যস্ততম অংশগুলিতে প্রয়োজনীয় অবকাঠামোগত উন্নয়ন নিশ্চিত করবে।

প্রকল্পগুলি প্রধানমন্ত্রী-গতি শক্তি জাতীয় মাস্টার প্ল্যানের উপর ভিত্তি করে পরিকল্পনা করা হয়েছে, যেখানে সমন্বিত পরিকল্পনা এবং অংশীদারদের পরামর্শের মাধ্যমে বহু-মডেল সংযোগ এবং লজিস্টিক দক্ষতা বৃদ্ধির উপর জোর দেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পগুলি মানুষ, পণ্য এবং পরিষেবার চলাচলের জন্য নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ প্রদান করবে।

জুড়ে যাবে তিন রাজ্য

এই প্রকল্পটি বিহার, ঝাড়খণ্ড এবং পশ্চিমবঙ্গ – এই তিনটি রাজ্যের পাঁচটি জেলাকে অন্তর্ভুক্ত করবে। আরও ১৭৭ কিলোমিটার কাজ এগোবে। মুখপাত্রের বক্তব্য, “প্রকল্প বিভাগটি দেওঘর (বাবা বৈদ্যনাথ ধাম), তারাপীঠ (শক্তিপীঠ) ইত্যাদির মতো বিশিষ্ট স্থানগুলিতে রেল সংযোগ প্রদান করে যা সারা দেশের তীর্থযাত্রী এবং পর্যটকদের আকর্ষণ করে।” মাল্টি-ট্র্যাকিং প্রকল্পগুলি প্রায় ৪৪১টি গ্রাম এবং প্রায় ২৮.৭২ লক্ষ জনসংখ্যা এবং তিনটি উচ্চাকাঙ্ক্ষী জেলা – বাঁকা, গোড্ডা এবং দুমকার সাথে যোগাযোগ বৃদ্ধি করবে।

এই বিষয়ে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, ‘এখন অধিকাংশ ট্রেন ভাগলপুর থেকে মালদা টাউন হয়ে রামপুরহাট এবং হাওড়ার দিকে যায়। নয়া প্রকল্পের ফলে অনেক ট্রেনই ভাগলপুর থেকে দুমকা হয়ে রামপুরহাটে চলে যেতে আসতে পারবে। যে তালিকায় এক্সপ্রেস, মেল ট্রেনও থাকবে। মোটামুটি দেড় ঘণ্টার মতো কম লাগবে। তাছাড়াও তারাপীঠ এবং দেওঘরের মধ্যেও রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও ভালো হবে।’

গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্যJoin Group
চাকরির খবরের জন্যJoin Hood Jobs
রাশিফলের জন্যJoin Hood Rashifal
খেলার খবরের জন্যJoin Whatsapp
সঙ্গে থাকুন ➥