সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: নেপালে চলতে থাকা ভয়াবহ আন্দোলনের (Nepal Protest) মাঝেই ঘটে গেল আরও এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদের বাসিন্দা 57 বছরের রাজেশ গোয়ালা কাঠমান্ডুর এক হোটেল থেকে পালাতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। তাঁর স্বামী রামবীর সিং গোয়ালা সামান্য আহত হলেও কোনওক্রমে প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন।
কীভাবে ঘটল এই দুর্ঘটনা?
সূত্রের খবর, 7 সেপ্টেম্বর দম্পতি ভ্রমণের উদ্দেশ্যে কাঠমান্ডু গিয়েছিলেন এবং হায়াত রিজেন্সি নামের একটি হোটেলে ওঠেন। তবে 9 সেপ্টেম্বর যখন Gen Z আন্দোলনে তীব্র আকার ধারণ করে, ঠিক তখনই বিক্ষোভকারীরা হোটেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। মুহূর্তের মধ্যেই চারদিক ধোঁয়ায় ভরে যায় এবং পালানোর সব পথও কার্যত বন্ধ হয়।
এমনকি উদ্ধারকারীরা নীচে গদি বিছিয়ে জানলা দিয়ে ঝাঁপ দিতে বলে। ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মধ্যে প্রথম রাজেশ দেবী চতুর্থ তলা থেকে ঝাঁপ দেন। তবে পড়ে গিয়েই গুরুতর আঘাত পান তিনি। তারপর তাঁর স্বামীও ঝাপ দেন। কিন্তু সামান্য আহত হন রামবীর বাবু। রাজেশ দেবীকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
রাজেশ দেবীর ছেলে বিশাল সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, মা যদি বাবার সঙ্গে থাকত, তাহলে হয়তো আজ কোনওক্রমে প্রাণে বেঁচে যেত। আলাদা হয়ে যাওয়াটাই তাঁর সর্বনাশ ডেকে আনল।
ভয়াবহ আন্দোলন নেপালে
প্রসঙ্গত, এই ঘটনার পেছনে রয়েছে নেপালের রাজনৈতিক দুরবস্থা। Gen Z এর দুর্নীতি বিরোধী আন্দোলনে গত সপ্তাহে 51 জনের বেশি নিহত হয়েছে। এমনকি আহত হয়েছে প্রায় 1300 জনেরও বেশি। সোমবার সোশ্যাল মিডিয়া নিষিদ্ধকরণ এবং সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দমনে পুলিশের গুলিতেও প্রাণ হারিয়েছে বহু মানুষ।
আরও পড়ুনঃ EMI মিস হলেই লক হয়ে যাবে স্মার্টফোন, নতুন নিয়ম আনার পথে RBI
এদিকে পরিস্থিতি আরও ভয়ংকর আকার ধারণ করে মঙ্গলবার। বিক্ষোভকারীরা সাংসদ ভবন এবং একাধিক মন্ত্রীর বাড়িতে সেদিন আগুন জ্বালিয়ে দেয়। ব্যাপক সহিংসতা চাপে পড়েই প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি পদত্যাগ করেন এবং আগামী দিনে সুশীলা কার্কি প্রধানমন্ত্রী পদে বসতে চলেছেন বলে খবর।