সেন্সর হওয়ার পরেও হম্বিতম্বি! ফের শান্তা দত্তকে চ্যালেঞ্জ অভিরূপের

Published on:

Calcutta University

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: উপাচার্যকে কুরুচিকর মন্তব্য! শাস্তিস্বরূপ এবার ৫ বছরের জন্য কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় (Calcutta University) সেন্সর জারি করা হল TMCP নেতা অভিরূপ চক্রবর্তীর উপর! পিএইচডি-র আবেদনপ্রার্থী হিসেবে অভিরূপের নাম নথিভুক্ত করা হলেও, প্রাথমিক পর্বেই সেন্সর জারি করল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। যার ফলে প্রশাসনিক ও একাডেমিক সমস্ত কার্যক্রম থেকে আপাতত বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাঁকে। এমতাবস্থায় এই সিদ্ধান্তে উল্টোদিক থেকে ক্ষোভ প্রকাশ করে আইনি পথে হাঁটার কথা জানালেন অভিরূপ চক্রবর্তী।

যত গন্ডগোল পরীক্ষা নিয়েই!

কিছুদিন আগেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের দিন কোনও পরীক্ষা স্থগিত হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য শান্তা দত্ত। তারপর থেকেই শুরু হয়েছিল টানাপোড়েন। শাসকদল এবং ছাত্র পরিষদের তরফ থেকে বুঝে নেওয়ার হুঁশিয়ারি এসেছিল উপাচার্যের কক্ষেও। আর সেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অভিরূপ চক্রবর্তী। যা নিয়ে বিস্তর চাপানউতোর তৈরি হয়েছিল রাজনৈতিক আঙিনায়। সেই কারণে এবার উপাচার্যের বিরুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্যের অভিযোগে ৫ বছরের জন্য অভিরূপকে সেন্সর করেছে বিশ্ববিদ্যালয়। আর তাতেই ক্ষোভে ফুঁসছেন অভিরূপ।

কেয়ারটেকার ভিসি বলে কটাক্ষ অভিরূপের

অভিরূপ চক্রবর্তী বর্তমানে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি-র আবেদনকারী। কিন্তু এই অবস্থায় অর্থাৎ পিএইচডি-র সামগ্রিক প্রক্রিয়া শুরুর আগেই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে সেন্সর করা যে রীতিমতো তাৎপর্যপূর্ণ তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এদিকে এই সেন্সরের ফলে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক কার্যকলাপ থেকে তাঁকে বিরত থাকতে হবে। আর তাতেই উপাচার্য শান্তা দত্তকে কেয়ারটেকার ভিসি বলে তোপ দাগতেও দেখা গেল অভিরূপকে। টিভি ৯ বাংলার রিপোর্ট অনুযায়ী তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অভিরূপ চক্রবর্তী জানান, “একজন কেয়ারটেয়ার ভিসির থেকে এর থেকে বেশি কিছু আশা করা যায় না। আমি অফিসিয়ালি কাগজপত্র পেলে নিশ্চয় আইনের দ্বারস্থ হব।”

আরও পড়ুন: মদ্যপ ছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে মৃত ছাত্রী? ‘বিশেষ বন্ধু’র পোস্ট ঘিরে বাড়ছে রহস্য

আইনি পথে লড়তে চলেছেন অভিরূপ

এদিন অভিরূপ চক্রবর্তী সকলের শিক্ষার অধিকার থাকার প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শান্তা দত্তকে সরাসরি কটাক্ষ করে বলেন, “কেউ কোনও ছাত্রের শিক্ষা অর্জনের অধিকার কেড়ে নিতে পারেন না। কিন্তু এই ভিসি সেটাই করছেন। আমার শিক্ষার অধিকার খর্ব করা হচ্ছে। তৃণমূল ছাত্র পরিষদ করি বলে আমি প্রতিহিংসার শিকার। আমি হাইকোর্টে যাব। ” এছাড়াও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “ শান্তা দত্তের নিজেরই যোগ্যতা নেই এই সিটে বসার। উনিই এখন সেন্সর করছেন। উনি রাজনীতি করতে নামলে রাজনৈতিকভাবে আক্রমণ হবে।” ঠিক এরপরই রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বলেন, “বিভিন্ন অধ্যাপককে দিয়ে আমাকে দমানোর চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু কণ্ঠরোধ করা যায়নি। গলা কেটে দিলেও জয় বাংলা বেরবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ বেরবে।” যদিও এই নিয়ে শাসক দলের তরফে কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

সঙ্গে থাকুন ➥