চরম পদক্ষেপ, হাজারের উপরে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করল নবান্ন! আপনার নাম নেই তো?

Published on:

1200 Bengal citizens Bank Account Freeze due to awas Yojana scam

বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: একসঙ্গে 1200 গ্রাহকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দিল প্রশাসন (Bank Account Freeze)! ঘটনাটি ঘটেছে এই বাংলায়। জানা গিয়েছে, বাংলার বাড়ি প্রকল্পে বাসস্থান তৈরির জন্য কিস্তির টাকা পেয়েও তা আসল জায়গায় কাজে লাগাননি অনেকেই। যদিও প্রশাসনের তরফে বারবার সতর্ক করা হয়েছে। কিন্তু তাতে চিড়ে ভেজেনি। তাই শেষ পর্যন্ত এমন অবাধ্য 1200 উপভোক্তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল দক্ষিণ 24 পরগনা জেলা প্রশাসন।

বাড়ি তৈরির টাকা ব্যবহার হয়েছে অন্য খাতে!

News 18 এর রিপোর্ট অনুযায়ী, কুলপির রহিম মোল্লা নামক এক ব্যক্তি চলতি বছরের শুরুতেই বাংলার বাড়ি প্রকল্পে বাড়ি তৈরির জন্য কিস্তির টাকা পেয়েছিলেন। তবে সময় মতো টাকা পেলেও ঘরের কাজে হাত লাগাননি তিনি। পুলিশ প্রশাসনের তরফে বারবার সতর্ক করা সত্ত্বেও শোনেননি রহিম।

এখানেই শেষ নয়, জয়নগরের শাহানুর আলম নামক এক ব্যক্তিও বাড়ি তৈরির জন্য সরকারি প্রকল্পে কিস্তির টাকা পাওয়ার পর বাসস্থান তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে দীর্ঘ আট মাস কাটিয়ে ফেলেছেন। আজ করব, কাল করব করে আর বাড়ি তৈরি হয়নি রহিমের। বরং সরকারি অর্থ গিয়েছে অন্য খাতে। ওই উপভোক্তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, বাড়ি তৈরির জন্য কিস্তিতে যে টাকা পেয়েছিলেন তা চিকিৎসায় লেগে গিয়েছে।

অবশ্যই পড়ুন: কমবে দাম! GST-র অধীনে আসবে পেট্রোল-ডিজেল? জানাল কেন্দ্র

রিপোর্ট বলছে, রহিম, শাহানুরের মতো এমন বহু উপভোক্তা বাংলার বাড়ি প্রকল্পে কিস্তির টাকা পেয়েও মাসের পর মাস ধরে বাড়ি তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাচ্ছেন। ব্লক স্তরের অফিসার থেকে শুরু করে স্থানীয় পুলিশ কর্মী তাঁদের বাড়িতে ইন্সপেকশনে গিয়ে দেখছেন সরকারি টাকা পকেটে নিয়ে গায়ে হাওয়া লাগিয়ে ঘুরছেন তারা। এদিকে, বাড়ি তৈরির জন্য একটি ইটও গাথা হয়নি। এমতাবস্থায়, সবমিলিয়ে এমন 1200 জন উপভোক্তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল দক্ষিণ 24 পরগনা জেলা প্রশাসন।

প্রশাসনের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, বাড়ি তৈরি না করলে সরকারি অর্থ ফেরত দিতে হবে। সেই অর্থ অন্য কোনও ক্ষেত্রে খরচ করা চলবে না। এদিকে প্রশাসনের কড়াকড়িতে কার্যত মাথায় বাজ পড়েছে বাংলার বহু উপভোক্তার। অনেকেই বলছেন, সরকারি অর্থের বেশিরভাগ টাকাই খরচ হয়ে গিয়েছে। এখন এত টাকা কীভাবে ফেরত দেব! কারও বক্তব্য, বাবার চিকিৎসায় সব টাকা চলে গিয়েছে, এখন ওই অর্থ ফেরত দেওয়া সম্ভব নয়।

সঙ্গে থাকুন ➥