সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: গ্রামের (Village) কথা উঠলে আমাদের সামনে ভেসে ওঠে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সবুজে মনোরমা দৃশ্য, সারি সারি কুঁড়েঘর, চাষাবাদ আর মাঠ-ঘাট। তবে যদি বলি এমন একটি গ্রাম রয়েছে, যেখানে শুধু একটাই পরিবার থাকে! শুনতে অবাক লাগলেও একেবারে সত্যি। কিন্তু কেন এরকম ঘটনা, আর কেনই বা ওই গ্রামে একটি মাত্র পরিবার? বিশদ জানতে চোখ রাখুন প্রতিবেদনটির উপরে।
গোটা গ্রামে মাত্র একটি পরিবার!
আসলে আমরা বলছি ঝাড়খণ্ডের রাজধানী রাঁচি থেকে মাত্র ৪০ কিলোমিটার দূরের একটি ছোট্ট গ্রাম চেংরের কথা। এই গ্রামের মোট আয়তন ৮৭ হেক্টর। অথচ এখানে কারো বসবাস নেই। গোটা গ্রাম জুড়ে একটি মাত্র পরিবারই থাকে। আর সেখানেই ৪০ জন সদস্য। সবাই একে অপরের আত্মীয়। একসময় এই গ্রামে একাধিক পরিবার থাকলেও এখন সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সবাই অন্যত্র চলে গিয়েছে।
সরকারের সুবিধা পাচ্ছে একটি পরিবার
প্রসঙ্গত, গ্রামে একটি মাত্র পরিবার থাকলেও সরকারি দপ্তরের খাতায় চেংরে আজও একটি গ্রাম হিসেবেই রয়েছে। তাই বিভিন্ন রকম সরকারি প্রকল্প ও কেন্দ্রীয় স্কিমের সুবিধাও তারা পায়। যেমন প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পের আওতায় বাড়ি পেয়েছেন, সন্তানরা বিনামূল্যে পড়াশোনার সুবিধা পাচ্ছে, রেশন কার্ড মারফৎ খাদ্যশস্য, পানীয় জল তাদের ঘরে পৌঁছে যাচ্ছে।
গ্রামের মানুষ সুদেশ জানিয়েছেন, আমরা খুব শান্তিতেই থাকি। গরু, মহিষ, ছাগল এই সমস্ত চড়াই। বনে যা কিছু মেলে, সেগুলো দিয়েই কোনওরকমে জীবন চলে যায়। দুধ বিক্রি করি আর চাষবাস করি। তাতেই সংসার ভালোভাবে চলে। তাঁদের মতে, শহরের মতো অত জ্যাকজমকপূর্ণ জীবন দরকার নেই, প্রকৃতিই তাঁদের ভরসা।
আরও পড়ুনঃ ৪৮০৩ কোটি টাকা খরচ, দুবাইয়ে খুলছে বিশ্বের সবথেকে উঁচু হোটেল! এক রাত কাটাতে কত পড়বে?
তবে অনেকে জিজ্ঞাসা করে যে, একা গ্রামের একটা পরিবার, ভয় লাগে না? সুদেশ বলেছেন, আমাদের গ্রাম লাগোয়া আরও একটি গ্রাম রয়েছে। ওখানে অনেক মানুষ বসবাস করে। কোনও সমস্যা হলেই আমরা ডাক দিলে ওরা ছুটে আসে। এখানে সেরকম ভয়ের কোনও কারণ নেই। পশুপাখি, মানুষ সবাই আমরা একে অপরের সঙ্গী।