প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: মাইথনের (Maithon) জল চুরি করে সুইমিং পুল এবং ফোয়ারা নির্মাণ! বাদ যায়নি বাগানের জল দেওয়া থেকে শুরু করে হাঁস চাষ। এমতাবস্থায় সেই অবৈধ জলসংযোগ রুখতে কড়া ব্যবস্থা নিল জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ বা পিএইচই আরসিএফএ ডিভিশন-১ সিভিল বিভাগ।
অবৈধ জল চুরি
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিগত কয়েকদিন ধরেই পশ্চিম বর্ধমানে মাইথন থেকে জল চুরি অভিযোগ উঠে আসছে একাধিক হোটেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। আর সেই চুরির জলে তৈরি হচ্ছে হোটেলে সুইমিংপুল থেকে শুরু করে ফোয়ারা। তাই এই অবৈধ জল চুরির ঘটনা রুখতে পিএইচই আরসিএফএ ডিভিশন-১ সিভিল বিভাগের তরফ থেকে মাইথন কল্যানেশ্বরী এলাকায় হোটেলগুলোতে অভিযান চালানো হয়। তদন্তের ভিত্তিতে অন্তত সাতটি বড় হোটেল লজের অবৈধ জল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিল জনস্বাস্থ্য কারিগরি বিভাগ।
৩০ ইঞ্চি মোটা পাইপ যুক্ত করে জল চুরি
জানা গিয়েছে মাইথনের জল অবৈধভাবে ব্যবহার রুখতে আজ অর্থাৎ শনিবার সকাল থেকে পিএইচই আরসিএফএ ডিভিশন-১ সিভিল বিভাগের প্রায় ১৬ জনের একটি দল একের পর এক হোটেলের অভিযানে নামে। সেখানকার অবৈধ জল সংযোগ কাটাতে থাকে। প্রথমদিকে হোটেল মালিকদের তর্কাতর্কিতে সামান্য বাধার সম্মুখীন হতে হয়, পরে পিএইচই কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কুলটি থানার অন্তর্গত চৌরঙ্গী ফাঁড়ির পুলিশ থাকায় পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসে। জানা গিয়েছে বেশিরভাগ হোটেল পিএইচই- এর মূল পাইপ লাইন থেকে সম্পূর্ণ অনৈতিকভাবে প্রায় ৩০ ইঞ্চি মোটা পাইপ যুক্ত করে হোটেল গুলিতে জল সরবরাহ করছিল।
আরও পড়ুন: মদ, গাঁজা থেকে বহিরাগতয় নিষেধাজ্ঞা! ছাত্রী মৃত্যুর পর কড়া নিয়ম যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে
উল্লেখ্য, পিএইচই আরসিএফএ ডিভিশন-১ সিভিল বিভাগের অভিযানে হোটেল নিউ বর্ষা, যাত্রী নিবাস, তারা মা লজ, শ্রেয়া নিবাস, মন্ডল ম্যারেজ হল, আপনজন এবং কল্যানেশ্বরী লজের অবৈধ জল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয় পরবর্তী সময়ে যাতে কোনো হোটেল, লজ পুনরায় অবৈধ সংযোগ জুড়ে নিতে না পারে সেজন্য কড়া নজরদারি রাখা হতে চলেছে। এবং বাকি হোটেলগুলিকেও সতর্কতা জারি করা হয়েছে।