সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: গত বছরের ৯ আগস্ট আরজি কর মেডিকেল কলেজে অভয়ার মৃত্যুর ঘটনা সকলের মনে এখনও গেঁথে রয়েছে। এরই মাঝে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পুকুর থেকে উদ্ধার হয়েছে এক তৃতীয় বর্ষের ছাত্রীর মৃতদেহ। তবে তার রেশ কাটতে কাটতেই ফের আর এক ছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু (Doctor Death) ঘিরে গোটা রাজ্য জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে চাঞ্চল্য।
সূত্রের খবর, দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের বাসিন্দা ২৪ বছরের অনিন্দিতা সরেন, যিনি আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ডাক্তারি ছাত্রী, শুক্রবার দুপুরে মালদহে হঠাৎ করেই তাঁর মৃত্যু হয়। প্রথমে ধারণা করা হচ্ছিল যে, অতিরিক্ত ওষুধ খাওয়ার কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তবে পরিবার দাবি করছে একেবারেই ভিন্ন। তাঁদের অভিযোগ, অনিন্দিতাকে তাঁর প্রেমিক বিষ খাইয়ে খুন করেছে।
প্রেম থেকে বিয়ে, তারপরেই অশান্তি
পুলিশ সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে, পুরুলিয়ার এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিল অনিন্দিতা। দুজনের সম্পর্ক খুবই ঘনিষ্ঠ ছিল। পরে তাঁরা পুরীর মন্দিরে গিয়ে বিয়েও সেরে নিয়েছিলেন। তবে বিয়ের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসেনি। পরিবার দাবি করছে, অনিন্দিতা সম্প্রতি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। তাঁর মা আলপনা টুডু মেয়েকে সামাজিক মতে বিয়ে করারও পরামর্শ দিয়েছিলেন। অনিন্দিতা এতে রাজি হন এবং প্রেমিককে চাপ দিয়ে শুরু করে। তবে তাঁর প্রেমিক রাজি ছিল না, বরং জোর করে তাকে গর্ভপাত করতে বাধ্য করেন। এরপর থেকেই দুজনের সম্পর্কে ফাটল ধরে।
তাঁর পরিবার জানিয়েছে, প্রায় চার দিন আগে অনিন্দিতা প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে মালদহে গিয়েছিল। সেখানে একটি হোটেলে ঘর ভাড়া নেয় তাঁরা। শুক্রবার সকাল ১১ টার পর পরিবারকে ফোন করে জানানো হয় যে, অনিন্দিতা গুরুতর অসুস্থ, তাঁকে মালদহ মেডিকেল কলেজে ভর্তি করানো হয়েছে। তড়িঘড়ি হাসপাতালে পৌঁছনোর পর পরিবার দেখে, অনিন্দিতার মুখ দিয়ে গ্যাঁজলা বেরোচ্ছে। চিকিৎসকরা তখন তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
আরও পড়ুনঃ এক ক্লিকেই বানান ট্রেন্ডিং Gemini ইমেজ, রইল প্রম্পট ও প্রসেস
পরিবারের বিস্ফোরক অভিযোগ
অনিন্দিতার মা অভিযোগ করেন, আমার মেয়ে কোনওভাবেই আত্মহত্যা করতে পারে না। ওকে ষড়যন্ত্র করেই ওর প্রেমিক বিষ খাইয়ে খুন করেছে। পরিবারের তরফ থেকে সরাসরি খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এমনকি পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। আত্মহত্যা নাকি ষড়যন্ত্র করে মারা হয়েছে, সব বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে।