বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: ক্ষমতা পেয়েও ব্যর্থ বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস। এবার সেই কাজ করে দেখালেন নেপালের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কারকি। দেশের মসনদে বসার একদিনের মধ্যেই ভোটের তারিখ ঘোষণা করে দিলেন হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্রটির প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি তথা বর্তমান অন্তর্বর্তী প্রধান সুশীলা (Sushila Karki On Nepal Elections)। কারকির ঘোষণা অনুযায়ী, পড়শি দেশে আগামী 5 মার্চ নির্বাচন।
সুশীলাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী থেকে মুখ্যমন্ত্রী সকলেই
শুক্রবার রাতে নেপালের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণের পরই ভারতের গুণগান শোনা যায় সুশীলার গলায়। নেপালের বর্তমান প্রধান বলেছিলেন, ভারতের প্রতি আমার অসীম শ্রদ্ধা এবং সম্মান রয়েছে। প্রশংসা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদিরও। আর এর পরই পড়শি দেশ থেকে ভেসে আসা প্রশংসার প্রত্যুত্তরে ইম্ফলের সভা থেকে সুশীলা কারকিকে অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
দেশের চৌকিদার বলেন, নেপালের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য সুশীলা কারকিকে আমার হৃদয়ের অন্তস্থল থেকে অভিনন্দন। আমি বিশ্বাস করি তিনি নেপালে শান্তি, সমৃদ্ধি এবং স্থিতিশীলতার পথ প্রশস্ত করবেন। শুধুই প্রধানমন্ত্রী নন, নেপালের বর্তমান অন্তরবর্তী প্রধানকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
নিজের এক্স হ্যান্ডেলে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, বাংলার সাথে নেপালের দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের মানুষের সাথে নেপালের মানুষের পারস্পরিক ঘনিষ্ঠতা আছে। প্রতিবেশী হিসেবে আমরা এই ঘনিষ্ঠতাকে আগামী দিনেও এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। সুশীলা কারকিকে অনেক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।
অবশ্যই পড়ুন: বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সিএবি সভাপতি হচ্ছেন সৌরভ গাঙ্গুলি! কীভাবে?
প্রসঙ্গত, বিগত বেশ কিছুদিন ধরেই নেপালের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাঠমান্ডুর মেয়র বালেন্দ্র শাহের নাম উঠে এলেও শোনা যায়, জেন জি তাঁর সাথে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে র্যাপারের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। এরপর দেশের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতিকেই অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সমর্থন জানায় নেপালের যুবসমাজ।
নেপাল নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বুধবার 5 হাজার যুব আন্দোলনকারী একটি ভার্চুয়াল বৈঠকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে সুশীলার নাম প্রস্তাব করেন। জানা যায়, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে থেকে সুশীলাকে সমর্থনের জন্য আড়াই হাজারেরও বেশি স্বাক্ষর পাওয়া গিয়েছিল। আর এরপরই শুক্রবার রাতে রাষ্ট্রপতি ভবনে নেপালের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়ে ক্ষমতায় আসার পরের দিনই দেশের স্বার্থে ভোটের তারিখ ঘোষণা করে দিলেন তিনি।