সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) ডাক্তারি পড়ুয়া মৃত্যুর ঘটনায় এবার নয়া মোড়। মৃত ছাত্রী অনামিকা মন্ডলের বাবা অর্ণব মন্ডল প্রকাশে খুনের অভিযোগ তুলে ধরলেন। তিনি দাবি করছেন, মেয়েকে কেউ জোর করে ঝিলে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছে। কারণ অনামিকা সাঁতার জানত না, আর রাতের অন্ধকারে একা যেতেও সাহস করত না।
কী ঘটেছিল সেদিন রাতে?
প্রসঙ্গত, নিমতার বাসিন্দা অনামিকা মন্ডল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত ড্রামা ক্লাবের একটি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন তিনি। অনুষ্ঠানের মাঝপথে তিনি চার নম্বর গেটের ঝিলপাড়ের শৌচালয়ের দিকে গিয়েছিলেন বলে খবর। তবে সেখান থেকে আর ফিরে আসেননি।
তাঁকে ফিরে আসতে না দেখে তাঁর সহপাঠীরা সেখানে গেলে ঝিলে ভাসতে থাকা অনামিকার দেহ দেখতে পায়। তারপর তাঁকে দ্রুত স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করে।
ময়নাতদন্তে রিপোর্ট কী বলছে?
এদিকে গত পরশুদিন প্রকাশিত ময়না তদন্তের রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, অনামিকার জলে ডুবেই মৃত্যু হয়েছে। অর্থাৎ, প্রাথমিকভাবে ঘটনাটি দুর্ঘটনা জনিত মৃত্যু হিসেবেই ধরা হচ্ছে। কিন্তু তাঁর বাবা অর্ণব মন্ডল রিপোর্ট মানতে নারাজ।
তিনি টিভি ৯ বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ওকে নিশ্চয়ই কেউ কিছু করতে প্রস্তাব দিয়েছিল। রাজি না হওয়ায় ওকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছে। অনামিকা কখনোই অন্ধকারে একা যেত না। ও খুবই ভয় পেত। যদি ধরেও নিই শৌচালয়ের জন্য গিয়েছিল, তবুও আমার বিশ্বাস হচ্ছে না যে ও স্বেচ্ছায় একা ঝিলপাড়ে গিয়েছিল। ওকে জোর করেই ফেলে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ Gen-Z আন্দোলনে প্রাণ গিয়েছে ৭২ জনের, শহিদদের ১০ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা নেপাল প্রধানমন্ত্রীর
প্রসঙ্গত, এই ঘটনার পর থেকেই পুলিশ ও প্রশাসন তদন্তে নেমেছে। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ওইদিন রাতে ঠিক কী ঘটেছিল এবং কারা উপস্থিত ছিল, সমস্ত তথ্য খুঁটিয়ে দেখা হচ্ছে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত পুলিশের কাছে কোনওরকম খুনের প্রমাণ মেলেনি। এখন সকলের নজর তদন্তের দিকে।