প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: ২০১৬ সালের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির জেরে এসএসসির গোটা প্যানেল বাতিল করে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। আর তার জেরেই রাতারাতি চাকরিহারা হয়ে গিয়েছিল প্রায় ২৬ হাজার, তা নিয়ে নিত্যদিন ঝামেলা ঝঞ্ঝাট লেগেই রয়েছে। শুধু কি তাই? অনেক শিক্ষক আবার মানসিক অবসাদে ভুগে মারাও গিয়েছে। আর এবার সেই রাজ্যেই এক স্কুল শিক্ষকের বালুরঘাটের শ্বশুরবাড়িতে মিলল লক্ষ টাকার পাহাড়। যা দেখে মাথায় হাত সকলের।
ঘটনাটি কী?
বেশ কয়েকদিন ধরে অনলাইন গেম ও বেটিং চালানোর অভিযোগে উঠে আসছে একাধিক জায়গা থেকে। আর এই সংক্রান্ত অভিযোগে সম্প্রতি গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ পিন্টু ঘোষ নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছিল। এরপর রিপোর্ট সূত্রে জানা গিয়েছে গত শনিবার ফের অনলাইন গেম ও বেটিং চক্রে গ্যাংটক থেকে বিশাল দাস ও অপূর্ব সরকার বলে দুই জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর অবশেষে মুখ খোলেন তাঁরা। আর তখনই জানা যায় লক্ষ লক্ষ টাকার হদিসের তথ্য।
উদ্ধার তাড়া তাড়া নোটের বান্ডিল
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, অনলাইন গেম ও বেটিং চক্রে ধৃত অপূর্ব সরকার গঙ্গারামপুরের নয়াবাজার হাইস্কুলের বিজ্ঞানের শিক্ষক। কিন্তু বিগত কয়েক দিন ধরেই তিনি নাকি স্কুলে যাচ্ছিলেন না। এরপর অপূর্বকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ থেকেই পুলিশ টাকার খবর পায়। আর সেই অনুযায়ী গতকাল অর্থাৎ রবিবার গঙ্গারামপুরের SDPO দীপাঞ্জন ভট্টাচার্যর নেতৃত্বে শিক্ষকের শ্বশুরবাড়ি বালুরঘাটের রঘুনাথপুরে হানা দেওয়ায় হয়। খোঁজাখুঁজির পর সেখান থেকেই উদ্ধার হয় তাড়া তাড়া নোটের বান্ডিল। শোয়ার ঘরে বক্স খাটের ভিতরে রাখা ছিল ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা। পাশাপাশি গঙ্গারামপুরের কায়স্থপাড়ায় শিক্ষকের বাড়ি থেকেও উদ্ধার হয় অনেক টাকা। তবে, মোট টাকার হিসেব এখনও স্পষ্ট জানায়নি পুলিশ।
আরও পড়ুন: পুজোর আগে ৮০০ কর্মীর বেতন দিচ্ছে না কৃষ্ণনগর পুরসভা! টাকা নেই দাবি পুরপ্রধানের
SDPO দীপাঞ্জন ভট্টাচার্য জানিয়েছেন যে, আগামী ২৭ আগস্ট জুয়ার চক্র ধরা পড়েছিল। সেই ঘটনায় প্রথমে ১১ ও পরে দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই বালুরঘাটে অভিযান চালানো হয়েছে। ওই চক্রের মূল পান্ডা পিন্টু ঘোষ ও সনাতন ঘোষকে গ্রেফতার করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। পিন্টু ঘোষের হোটেল রয়েছে। কিন্তু তার আড়ালেই অনলাইন জুয়া চলত। এই এই বেটিং চক্রে আর কেউ জড়িত কি না, তার খোঁজ চলছে।