সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: বিহারের বিধানসভা নির্বাচনের আগেই ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন প্রক্রিয়া নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court on SIR)। সোমবার দেশের শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, সংশোধনের কাজে যদি কোনওরকম অসঙ্গতি ধরা পড়ে, তাহলে গোটা প্রক্রিয়াকেই বাতিল করে দেওয়া হবে। আর এই মন্তব্যকে ঘিরে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
কী বলল আদালত?
সোমবার বিচারপতি সূর্যকান্ত ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, আপাতত তাঁরা ধরে নিচ্ছে যে, নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবেই আইন ও নিয়ম মেনে কাজ করছে। তবে যদি ভবিষ্যতে কোনওরকম বেআইনি পদক্ষেপ বা গাফিলতি সামনে আসে, তাহলে গোটা প্রক্রিয়াকে বাতিল করে দেওয়া হবে।
শীর্ষ আদালত আলো জানিয়েছে যে, এই মামলা টুকরো টুকরো করে মন্তব্য করা যাবে না। কারণ বিষয়টি শুধুমাত্র বিহারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকছে না। বরং গোটা দেশের নির্বাচনী তালিকার সংশোধন প্রক্রিয়াতেই প্রভাব পড়তে পারে। তাই সর্বভারতীয় প্রেক্ষাপটেই রায় দেওয়া হবে। আগামী ৭ অক্টোবর এই মামলার চূড়ান্ত শুনানি হওয়ার কথা। আর সেদিনই বিশেষ রিভিশন প্রক্রিয়ায় বৈধতা নিয়ে আদালত রায় দেবে।
আধার কার্ড নিয়ে আদালতের অবস্থান
প্রসঙ্গত, এর আগে একই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট আধার কার্ডকে ভোটার তালিকা সংশোধনের ক্ষেত্রে ১২ তম পরিচয়পত্র হিসেবে গ্রহণ করার নির্দেশ জারি করেছিল। কিন্তু আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, আধার কার্ড কখনোই নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়। তবুও নিয়ম অনুযায়ী, আধার কার্ডকে একজন ব্যক্তির পরিচয়ের প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
আরও পড়ুনঃ অবসর নিলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম, তাঁর জায়গায় কে?
শীর্ষ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা ভোটারদের দেওয়া আধার কার্ডের সত্যতা যাচাই করতে পারে। আর জাতীয় নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যেই রাজ্যের সিইও-কে এই বিষয়ে নির্দেশ দিয়ে দিয়েছে। পাশাপাশি এও বলা হয়েছে যে, এই কাজে শুধুমাত্র ১২ ধরনের ডকুমেন্ট গ্রহণযোগ্য। এর বাইরে আর কোনও নথি ব্যবহার করা যাবে না। এখন সকলের নজর আগামী ৭ অক্টোবর শুনানির দিকে।