সহেলি মিত্র, কলকাতা: আবারও একবার বিপাকে পড়তে চলেছেন সাধারণ রেল যাত্রীরা। দুর্গাপুজোর মুখে নতুন করে বাংলাসহ তিন রাজ্যে হতে চলেছে ‘রেল টেকা’ অভিযান (Kudmi ST Rail Teka Andolan), সৌজন্যে কুড়মি সংগঠন। জনা গিয়েছে, আদিবাসী কুড়মি সমাজ (AKS) কুড়মি সম্প্রদায়ের জন্য তফসিলি উপজাতি (ST) মর্যাদা সহ তাদের দাবির সমর্থনে ২০ সেপ্টেম্বর থেকে ঝাড়খণ্ড, পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশা জুড়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য ‘রেল টেকা’ আন্দোলনের ঘোষণা করেছে।
তিন রাজ্যে ‘রেল রোকো’ আন্দোলনের ঘোষণা
AKS সভাপতি শঙ্খ শেখর মাহাতো জানিয়েছেন, “আমরা রেল রোকো ডাক দিয়েছি এবং আদিবাসী কুড়মি সম্প্রদায়ের সমস্যাগুলির বিষয়ে একইসঙ্গে থাকা বেশ কয়েকটি আরও সংগঠন এই আন্দোলনকে সম্পূর্ণ সফল করতে আমাদের সাথে যোগ দেবে। সম্প্রতি সেরাইকেলা-খারসাওয়ান জেলার চান্ডিল ব্লকের অন্তর্গত রুগদির কুড়মি ভবনে এই সংগঠনের সভা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে তিনটি রাজ্যের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
AKS সম্পাদক গুণধাম মুত্রুয়ার বলেন, “কুড়মি সম্প্রদায়ের আদিবাসী মর্যাদার দাবি ছাড়াও, এই সংগঠনটি ২০২৬ সালের জাতীয় জনসংখ্যা আদমশুমারিতে ধর্মের কলামে কুর্মিদের আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃতি, সংবিধানের অষ্টম তফসিলে কুর্মালি ভাষা অন্তর্ভুক্তকরণ, পঞ্চায়েত (তফসিলি অঞ্চলে সম্প্রসারণ) আইন (PESA) ১৯৯৬ সংশোধন করে কুর্মিদের প্রচলিত পঞ্চায়েত ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছে।”
ফের থমকে যাবে ট্রেনের চাকা?
তাঁর দাবি, “১৯৩৭ সালের উইলকিনসন শাসন, যা মানকি-মুন্ডা শাসন নামে পরিচিত, এটি কুর্মীদের স্ব-শাসন ব্যবস্থার একটি রূপান্তর, যা ঔপনিবেশিক শাসনের আগে শতাব্দী ধরে প্রচলিত ছিল।” জানা গিয়েছে, রেল অবরোধ হতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড ও উড়িষ্যায়। উল্লেখ্য, ২০২২ এবং ২০২৩ সালে, কুর্মীদের রেল রোকো আন্দোলন রেল যাত্রীদের জন্য বিশাল অসুবিধার সৃষ্টি করে এবং রেলওয়ে ব্যাপক রাজস্ব ক্ষতির সম্মুখীন হয়। উভয় ক্ষেত্রেই আন্দোলনটি টানা পাঁচ দিন স্থায়ী হয়। এবারও যদি পুজোর মুখে বাংলা সহ তিন রাজ্যে আন্দোলনটি অনুষ্ঠিত হয় তাহলে ব্যাপক সমস্যার মুখে পড়তে হবে সাধারণত রেলযাত্রী থেকে শুরু করে রেলকে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।