সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: উত্তরাখণ্ডের দেরাদুনে (Dehradun Cloudburst) সোমবার গভীর রাত থেকে ভয়াবহ মেঘভাঙা বৃষ্টির তাণ্ডব চলেছে। আচমকা ফুলে ফুলে উঠেছে বিকাশনগরের আসান নদী। এর জেরে মুহূর্তের মধ্যেই স্রোতে ভেসে গিয়েছে 10 থেকে 12 জন মানুষ। এমনকি স্থানীয়রা এবং উদ্ধারকারী দল মিলিতভাবে পাঁচজনকে বাঁচাতে সক্ষম হলেও তিনজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পাশাপাশি চারজন এখনো নিখোঁজ, যাদের তল্লাশি চলছে।
কার্ডিগড়ে মেঘভাঙা বৃষ্টির তাণ্ডব
জানা গিয়েছে, কার্ডিগড় এলাকায় ভয়ংকর ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে এই মেঘভাঙা বৃষ্টি। গোটা বাজারের উপর এই ধ্বংসযজ্ঞের প্রভাব পড়েছে। এতে দুই-তিনটি হোটেল ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এমনকি সাত-আটটি দোকান সম্পূর্ণ ভেঙে গিয়েছে। স্থানীয়রা জানাচ্ছে, ওই সময় শতখানেক লোক আটকে পড়েছিল। কিন্তু গ্রামবাসীরা সাহসিকতার সঙ্গে তাঁদেরকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দেওয়া দিয়েছে। তবে সেখানেও এক-দুই জন নিখোঁজের আশঙ্কা করা যাচ্ছে।
Nature’s beauty carries its own fury.
Last night in Sahastradhara, Dehradun, the gentle streams turned into a furious river. A sudden #cloudburst washed away the calm and left fear in its place. I pray the missing return safely and the mountains find their silence again.
🌧🙏 pic.twitter.com/ahgjh8NI2x— Yash Tiwari (@DrYashTiwari) September 16, 2025
রিপোর্ট অনুযায়ী খবর, রাত দু’টো নাগাদ বিপর্যয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে খবর এসেছিল। সঙ্গে সঙ্গে SDRF এবং ফায়ার সার্ভিস টিম ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। তবে অতিরিক্ত ধ্বংসাবশেষে রাস্তা আটকে থাকায় পৌঁছতে দেরি হয়। পরে সড়ক পরিষ্কার হলে সরকারি জেসিবি মেশিন কাজ নামে। এমনকি এদিন দেরাদুনের তপকেশ্বর মন্দিরের কাছে তামসা নদীও ভয়ংকর রূপ নেয়। স্রোতে ডুবে যায় মন্দিরের ভেতরে শিবলিঙ্গ। সতর্কতার জন্য মন্দির প্রাঙ্গণ খালি করে দেওয়া হয়েছে।
মুসৌরিতেও মৃত্যুর খবর
উল্লেখ্য, মেঘভাঙার প্রভাব এসে পৌঁছেছে মুসৌরির ঝাড়িপানিতেও। প্রবল বৃষ্টির কারণে শ্রমিকদের কাঁচা ঘর ভেঙে পড়েছে। এতে এক শ্রমিকেরও মৃত্যু হয়েছে। এমনকি আর একজন গুরুতর আহত হয়েছে এবং পুলিশ আহত শ্রমিককে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি বাকি শ্রমিকদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ “কেশ স্পর্শ করারও অধিকার নেই কারোর!” মুসলিমদের ‘আশ্বাস’ দিলেন শমীক ভট্টাচার্য
এই ঘটনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী সোশ্যাল মিডিয়ায় শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, প্রবল বর্ষণের ফলে প্রাণহানি ঘটেছে এবং কিছু দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলা প্রশাসন, SDRF এবং পুলিশ ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকার্য চালাচ্ছে। আমি নিজেই পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছি এবং স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। সবার নিরাপত্তার জন্য ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি।