বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: রাস্তার ধারের এক দোতলা বাড়িতে ঠেকে গিয়েছে নাগপুর শহরের অন্যতম আকর্ষণ 998 কোটির ইন্দোরা-দিগহোরি ফ্লাইওভার। যা নিয়ে ক্রমশ বাড়ছে বিতর্কের পারদ (Nagpur Flyover Case)। খোঁজ নিয়ে জানা গেল, ওই উড়ালপুলটি তৈরি করেছে ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি অফ ইন্ডিয়া। যার কারণে বিতর্কের ঘোলা জলে নাম জুড়েছে কেন্দ্রেরও।
বাড়িটিকে বেআইনি আখ্যা দিয়েছে সরকার
সোশ্যাল মিডিয়ায় নাগপুরের ওই দোতলা বাড়ির বাসিন্দারা স্পষ্ট জানিয়েছেন, প্রশাসনের তরফে তাদের কাছে নোটিস এসেছিল। কিন্তু কী কারণে ওই নোটিস পাঠানো হয়েছে তার কোনও ব্যাখ্যা তাদের কাছে নেই। এক কথায়, প্রশাসনের তরফে তাদেরকে খোলসা করে কিছুই জানানো হয়নি।
এদিকে, নাগপুর পুরসভা দাবি করছে, রাস্তার ধারের ওই দোতলা বাড়িটি বেআইনিভাবে তৈরি করা হয়েছে। তাদের বক্তব্য, কোনও রকম অনুমোদন ছাড়াই ওই বাড়িটি তৈরি করা হয়। এদিকে বাড়ির মালিক তা নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ।
জাগরণের রিপোর্ট অনুযায়ী, অশোক স্কোয়ারের কাছে ওই সেতুটি তৈরি করেছে ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি অফ ইন্ডিয়া। তাদের দাবি, ওই সেতু নির্মাণে কোনও রকম অনিয়ম হয়নি। অনুমোদিত ডিজাইন অনুযায়ীই গোটা সেতুটিকে তৈরি করা হয়েছে।
ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার আধিকারিকদের কথায়, সেতুটি যে বাড়িতে গিয়ে ঠেকেছে সেই বাড়ির ব্যালকনি বেআইনিভাবে তৈরি করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই সেটা ভেঙে ফেলা হবে। যদিও এতে সেতুর যে খুব একটা ক্ষতি হবে, তা মেনে নিচ্ছেন না জাতীয় সড়ক পরিবহন দপ্তরের আধিকারিকরা।
সম্প্রতি ওই বাড়িটিকে অবৈধ বলে দাবি করে এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টও দিয়েছে NHAI। সেখানে জানানো হয়, নাগপুরের ওই অবৈধ বাড়িটি চিহ্নিত করা হয়েছে। পুরসভাকে ওই নির্মাণ ভেঙে ফেলার জন্য অনুরোধ করেছেন আধিকারিকরা। আর এরই মাঝে, সরকারি প্রকল্পে সেতু নির্মাণ নিয়ে ক্রমশ ক্ষোভ বাড়ছে স্থানীয়দের। তাদের একাংশের দাবি, সবকিছু জেনেও ওই বাড়ির ব্যালকনি ঘেঁষে তৈরি করা হয়েছে সেতটি। আর এখন বাড়িটিকেই বেআইনি বলছে সরকার।
অবশ্যই পড়ুন: স্টেট ব্যাঙ্কে ভয়াবহ ডাকাতি, কর্মীদের বেঁধে রেখে ৫৮ কেজি সোনা সহ ৮ কোটি টাকা লুঠ
প্রসঙ্গত, নাগপুরের ওই দোতলা বাড়িটি বেআইনি, নাকি কেন্দ্রের তৈরি নাগপুরের প্রধান আকর্ষণ 998 কোটির ওই সেতু, সে বিষয়ে না ঢুকেই নাগপুরের স্থানীয় বিধায়ক প্রবীণ ডাকতে জানিয়েছেন, আগে থেকে নোটিশ পাঠানো যেত। ওই বাড়িতে বসবাসকারী পরিবারটিকে পুনর্বাসনও দিতে পারতো সরকার। কিন্তু তেমনটা হচ্ছে না। বিষয়টা এতটাই জটিল হয়ে উঠেছে যে সোশ্যাল মিডিয়াতেও এ নিয়ে হাজারো মতামত আছড়ে পড়ছে।