সহেলি মিত্র, কলকাতা: মামার বাড়ি যাওয়াই যেন কাল হল স্কুল পড়ুয়ার! টানা এক সপ্তাহ ধরে নিখোঁজ ক্লাস টেনের ছাত্রী। জানা গিয়েছে, গত ১২ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকাল ৯টার সময়ে চন্দননগরের (Chandannagar) কাঁটাপুকুর থেকে বেরোনোর পর আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না শর্মিষ্ঠা মুখোপাধ্যায়ের। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে চন্দননগরে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
চন্দননগরে নিখোঁজ দশম শ্রেণির ছাত্রী
জানা গিয়েছে, স্কুলে শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠানে যাওয়ায় জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিল বছর ১৫-র শর্মিষ্ঠা মুখোপাধ্যায়। সে ইমামবাড়ার কাছে একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে ক্লাস টেনের ছাত্রী। এই বছর তার বোর্ড পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল। পৈতৃক বাড়ি চুঁচুড়া কোদালিয়ায়। গত ৯ মাস আগেই তার মায়ের ক্যান্সার রোগে মৃত্যু হয়। এদিকে বাবারও মৃত্যু হয়েছে। সেই থেকে চন্দননগরের কাঁটাপুকুরে মামার বাড়িতেই ওই ছাত্রীর আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছিল। যাইহোক, গত এক সপ্তাহ ধরে সে নিখোঁজ।
মেয়েটি আদৌ বেঁচে আছে কিনা তা নিয়েও উদ্বেগ ছড়িয়েছে সকলের মধ্যে। মেয়েটির পরিবারের দাবি, বাড়িতে সেভাবে কারও সঙ্গে কথা বলত না ঠিকভাবে। সেখানে থেকেই পড়াশোনা করছিল সে। পুলকারে করেই যাতায়াত করত স্কুলে। এরপর গত ১২ সেপ্টেম্বর সে টোটো করে একাই স্কুলে যাবে বলে জানায়। তবে স্কুলে খোঁজ নিয়ে জানা যায় সে সেদিন স্কুলে যায়নি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ছবি
পরে নাকি শর্মিষ্ঠা ফোন করে জানায়ও যে সে ভালো আছে। কিন্তু তারপর থেকে আর ফোনে যোগাযোগ করা যায় না তাঁর সঙ্গে। পরিবারের অভিযোগ, পুলিশের কাছে এই বিষয়ে জানাতে গেলেও কোনও সাহায্য মেলেনি। ফলে বর্তমানে মেয়েটির ছবি ও বর্ণনা সহ সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেছে পরিবার। যদি কেউ তাঁর সন্ধান পায় তাহলে যেন পোস্টারে দেওয়া নম্বরে যোগাযোগ করা হয়।
এই বিষয়ে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের এক পুলিশ আধিকারিক সোমনাথ বন্দোপাধ্যায় বলেন, “একজন নাবালিকা ছাত্রী নিখোঁজ রয়েছে। মিসিং পোর্টালে দেওয়া হয়েছে। ওনার ফোনটি ট্রাক করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যত তাড়াতাড়ি খোঁজ করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।” শর্মিষ্ঠার দাদু শঙ্কর পাল ও দিদা পার্বতী পাল দু’জনেই সবসময় কাদছে ৷ বার বার নাতনির ফোনে ফোন করছে তাঁরা।