সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ফের বিরাট ধাক্কা খেল পাকিস্তান ও চিন। রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে বালোচ লিবারেশন আর্মিকে (Baloch Liberation Army) জঙ্গি সংগঠন হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তাব খারিজ হয়ে গেল। পাকিস্তান আর চিন একসঙ্গে এই দাবি তুললেও আমেরিকা, ব্রিটেন এবং ফ্রান্সের বিরোধিতায় তা ভেস্তে গেল।
ভেস্তে গেল পাকিস্তান-চিনের দাবি-দাওয়া
পাকিস্তান নিরাপত্তা পরিষদের কাছে দাবি জানিয়েছিল, সীমান্তে সন্ত্রাস এড়াতে আফগানিস্তানের মদতে অন্তত 60 টি ক্যাম্প চালাচ্ছিল বালোচ লিবারেশন আর্মি। এমনকি সংগঠনের আত্মঘাতী বাহিনীর মাজিদ ব্রিগেডও ভয়ানকভাবে সক্রিয়। তাই এই সংগঠনকে অবলম্বনে জঙ্গি তকমা দেওয়ার দাবি জানিয়েছিল ইসলামাবাদ। চিনও সেই প্রস্তাবে গা ভাসিয়েছিল।
প্রসঙ্গত, মাত্র মাসখানেক আগেই পাকিস্তানের মনে রাখতে বালোচ লিবারেশন আর্মিকে বিদেশী জঙ্গি সংগঠনের তালিকায় রেখে দিয়েছিল আমেরিকা। রিপোর্ট অনুযায়ী, এবার রাষ্ট্রসঙ্ঘে এসে সেই একই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে ওয়াশিংটন জানিয়েছে, যথেষ্ট প্রমাণ নেই বলেই এই মুহূর্তে সংগঠনটিকে জঙ্গি তকমা দেওয়া যাচ্ছে না। একই পথে হাঁটে ব্রিটেন এবং ফ্রান্স।
আমেরিকা সুর বদলাল কেন?
তবে এখন প্রশ্ন উঠছে, হঠাৎ অবস্থান বদলাল কেন আমেরিকা? আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছে, এর নেপথ্যে বিরাট ভূমিকা রয়েছে সাম্প্রতিক ভারত-আমেরিকা সম্পর্কের উন্নতির। দিল্লি ও ওয়াশিংটনের দূরত্ব দিনের পর দিন কমছে। ট্রাম্প প্রশাসনে চাইছে, নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সম্পর্ক আরও দৃঢ় হোক। ফলে ইসলামাবাদের স্বার্থে রাষ্ট্রসঙ্ঘের সিদ্ধান্ত নেওয়া যে অতটা সহজ হবে না তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
আরও পড়ুনঃ সাত সকালে অগ্নিকাণ্ড, পুড়ে ছাই গোটা ক্লাসরুম! হুলুস্থুল কাণ্ড বারুইপুরে
যদিও সবকিছু এখানেই শেষ নয়। কারণ চলতি মাসের শেষেই রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ সভার ফাঁকে বৈঠকে বসতে পারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আর পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ এবং সেনা প্রধান আসিম মুনির। সেক্ষেত্রে বালোচ লিবারেশন আর্মিকে জঙ্গি তকমা নিয়ে আবারও নতুন করে কোনও আলোচনা হতে পারে। এখন সকলের নজর আপাতত সেই বৈঠকের দিকে।