সহেলি মিত্র, কলকাতাঃ রাত পোহালেই রয়েছে মহালয়া। দুর্গাপুজোর নির্ঘণ্ট বেজে গিয়েছে। তবে এসবের মাঝেও একটা জিনিস সকলের চিন্তা বাড়িয়েছে। আর সেটা হল নিম্নচাপ এবং বৃষ্টি। আগে পুজো মানেই মানুষ ভাবতেন ষষ্ঠী থেকে প্যান্ডেল হপিং। কিন্তু এখন তার অনেক আগে থেকেই খুলে যায় মণ্ডপের মণ্ডপের দরজা। বিগত কিছু বছরে মহালয়ার আগে থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে প্যান্ডেল হপিং। যাইহোক, এবারেও সেই একই বিষয় হচ্ছে। কিন্তু এখন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে পুজো উদ্যোক্তাদের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে দুর্যোগ। চলতি মাসের শেষের দিকে রয়েছে পুজো। আর পুজোর সময়ে ভালোরকম বৃষ্টি হবে সেটা জানিয়েই দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Weather Update)। তাহলে কি এবারের পুজোয় সুন্দর সুন্দর নতুন জামাকাপড় রেইনকোট এবং ছাতায় ঢেকে যাবে? সেই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
পুজোর সময়ে ঝেঁপে বৃষ্টি নামবে
পুজোর সময় বৃষ্টির ভাবগতি নিয়ে আবারও বড় আপডেট শোনাল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। হাওয়া অফিসের বুলেটিন জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যেই সক্রিয় রয়েছে নিম্নচাপ রেখা। তার জেরে উত্তরবঙ্গর পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গেও ২১ সেপ্টেম্বর মহালয়া থেকে শুরু হবে বৃষ্টি। রবিবার থেকেই মেঘলা আকাশ, সঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি। কিছু কিছু স্থান বিশেষে ভারী বৃষ্টিও চলবে। দক্ষিণবঙ্গে অপেক্ষাকৃতভাবে রবিবার থেকেই বৃষ্টির বেগ বাড়বে। ফলে এখনও যদি ছাতা বা রেইনকোট না কিনে থাকেন তাহলে তা কিনে নিতে পারেন ঝটপট। কারণ পুজোর সময়ে বৃষ্টি হবেই হবে।
আসলে আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, আগামী ২২ সেপ্টেম্বর আন্দামান সাগরের ঘূর্ণাবর্ত ঢুকে পড়তে পারে উত্তর বঙ্গোপসাগরে। এর প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গে এক ধাক্কায় অনেকটাই বাড়বে বৃষ্টি। এরপর ২৩ সেপ্টেম্বর পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ২৪-২৫ সেপ্টেম্বরও হালকা-মাঝারি বৃষ্টি চলবে দক্ষিণবঙ্গের বেশিরভাগ জেলায়।
দক্ষিণবঙ্গেও ভারী বৃষ্টির ভ্রূকুটি
দক্ষিণবঙ্গে, ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অনেক জেলায় ৩০-৪০ কিলোমিটার বেগে হাওয়া এবং বজ্রবিদ্যুৎ সহ বর্ষণের জন্য হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। জেলাগুলির মধ্যে রয়েছে কলকাতা , হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদীয়া। ২৩ সেপ্টেম্বর পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বজ্রপাতের সাথে ভারী বৃষ্টিপাত (৭-১১ সেমি) হতে পারে।
অপরদিকে উত্তরবঙ্গে, হলুদ এবং কমলা উভয় ধরণের সতর্কতা জারি থাকায় পরিস্থিতি আরও গুরুতর হয়ে উঠেছে। আজ থেকে আগামী কয়েকদিন দার্জিলিং, কালিম্পং এবং কোচবিহারে ভারী বৃষ্টিপাতের (৭-১১ সেমি) সম্ভাবনা রয়েছে। সপ্তাহজুড়ে এই অঞ্চল জুড়ে ব্যাপক বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে।