সহেলি মিত্র, কলকাতা: এবার ছাড় পেল না ভিক্ষুকও! শেষমেষ কিনা তাঁর কাছ থেকেও টাকা কাটমানি নিলেন এক তৃণমূল নেতা। সম্প্রতি নদিয়ার (Nadia) কালীগঞ্জের পলাশির এক নম্বর পঞ্চায়েত থেকে এমনই এক চাঞ্চল্যকর খবর উঠে আসছে। ঘটনাটি ঘটেছে পলাশির এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। সেখানকার বাসিন্দা চন্দনা সর্দার স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ করেছেন। আরও বিশদে জানতে চোখ রাখুন আজকের এই প্রতিবেদনটির ওপর।
ভিক্ষুকের কাছ থেকে টাকা তোলার অভিযোগ!
স্থানীয় সূত্রে খবর, চন্দনা সর্দার দীর্ঘদিন ধরে শারীরিকভাবে অক্ষম। ফলে তিনি এলাকায় ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবন নির্বাহ করে। তাঁর অভিযোগ, ‘বাংলা আবাস যোজনা’ ঘরের টাকা অ্যাকাউন্টে ঢোকার পর এলাকার পঞ্চায়েত প্রধান রুমা দাসের স্বামী সমর দাস তাঁর কাছ থেকে জোর করে নাকি ৭০০০ টাকা হাতিয়ে নেন। এই অভিযোগকে ঘিরে সরগরম রাজ্য রাজনীতি।
এর আগে বাংলায় ‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা’-র টাকা নিয়ে বিরাট দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। যে কারণে বেশ কিছু বছর হল টাকা পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্র। এদিকে কেন্দ্রের এহেন পদক্ষেপ দেখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের আদলে সকলকে বাড়ি বানিয়ে দেওয়ার ঘোষণা করেন। প্রকল্পের নাম রাখেন ‘বাংলা আবাস যোজনা’। এখন এই যোজনার আওতায় বহু মানুষের বাড়ি তৈরি হয়েছে। আবেদন রয়েছে আরও কয়েক লক্ষ মানুষের। তবে এসবের মধ্যে এক ভিক্ষুকের কাছ থেকে আবাস যোজনার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল শাসক দলের নেতার বিরুদ্ধে।
তদন্ত শুরু
চন্দনা দেবী তৃণমূলের প্রধানের স্বামীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন স্থানীয় বিডিওর কাছে। তাঁর আবেদন, তিনি যেন কাটমানি ছাড়াই আবাস যোজনার টাকা পান। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার বক্তব্য, “এই বিষয়টা ভিত্তিহীন। ওরা তো গরিব। ভিক্ষা করে খায়। এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি।” কালীগঞ্জ বিডিও অঞ্জন চৌধুরী বলেন, “সরকারি প্রকল্পের টাকায় এমন দুর্নীতির অভিযোগ কতটা সত্যি, তা খতিয়ে দেখছে প্রশাসন। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করা হবে।”