সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: দুর্গাপুজোর আগে স্কুল পড়ুয়াদের জন্য এলাহি আয়োজন করলো পশ্চিম মেদিনীপুরের বাঁশিচক প্রাথমিক বিদ্যালয়। সাধারণত মিড-ডে মিলে (School Mid Day Meal) ডাল-ভাত, সোয়াবিন কিংবা ডিম দেওয়া হয়। তবে এদিন পড়ুয়াদের পাতে উঠল সরষে ইলিশ থেকে পমফ্রেট, ফ্রাইড রাইস থেকে চিলি চিকেন, সব আহামরি আয়োজন।
পুজোর আগেই ভরপুর আনন্দ স্কুলে
জানা যাচ্ছে, শুক্রবার দুপুরবেলা স্কুল চত্বর এক ভোজসভায় পরিণত হয়েছিল। প্রায় ১১৫ জন ছাত্রছাত্রী একসঙ্গে বসে এদিনের এলাহি মেনু আয়েশ করে উপভোগ করল। কয়েক দিনের মধ্যেই পূজোর ছুটি। তাই শেষ মুহূর্তে তাদের মুখে হাসি ফোটাতেই এই বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছিল স্কুলের শিক্ষকরা।
কী ছিল মেনুতে?
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কল্যাণ দাস জানিয়েছেন, আজকের মেনুতে ভাত, ডাল, চিংড়ি-কচু শাকের তরকারি, সরষে ইলিশ, পমফ্রেট, ফ্রাইড রাইস, চিলি চিকেন, স্যালাড, দই, মিষ্টি, চাটনি আর পাপড় ছিল। সবমিলিয়ে যেন এক পূর্ণাঙ্গ ভোজ! এই আয়োজনের জন্য এগিয়ে এসেছিলেন স্কুলের তিন শিক্ষক ছাড়াও আরও এক অভিভাবক।
স্কুলের সহকারী শিক্ষক পিন্টু শিট জানিয়েছেন, তাঁদের এক সহকর্মীর দাদা ট্রলারের ব্যবসা করেন। আর তিনি প্রতিবছরই ইলিশ আর পমফ্রেট দিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। ওনার ছেলে-মেয়েও স্কুলে পড়ে। আর আমরা বাকিরা মিলে প্রতিবছরের দুর্গাপুজোর আগে এরকম এলাহি আয়োজন করি। এতে পড়ুয়ারা খুশি হয়, আমাদেরও আনন্দ লাগে।
আরও পড়ুনঃ নতুন GST-তে ২.৫ লক্ষ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে দেশবাসীর! ভাষণে জানালেন মোদী
উল্লেখ্য, এই ভুরিভোজের দিনে স্কুলে গিয়েছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংসদের চেয়ারম্যান অনিমেষ দে। স্কুলে ঢুকেই তিনি দেখেন পড়ুয়ারা এলাহি ভোজের আয়োজনে মজেছে। আর চারিদিকে ইলিশের গন্ধ। তিনি শিক্ষকদের উদ্যোগকে প্রশংসা করে বলেছেন, এই স্কুলে অল্প কয়েকজন শিক্ষক থাকলেও তাঁরা যত্ন সহকারে পড়ান আর ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে সম্পর্ক অসাধারণ। এরকম উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে না।