প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: মহালয়ার রাতে ভয়ংকর দুর্ঘটনা। ইকো পার্কের (Eco Park) কাছে টহলদারি করতে গিয়ে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল ১ পুলিশ কনস্টেবলের, আহত আরেক সিভিক ভলেন্টিয়ার। মৃতের নাম জ্যোতিষ দেবনাথ। তিনি ইকো পার্ক থানার পুলিশ কনস্টেবল ছিলেন। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি ওই সিভিক। নিরুদ্দেশ ঘাতক গাড়ির সন্ধানে নামল পুলিশ।
ঠিক কী ঘটেছিল?
রিপোর্ট অনুযায়ী, রবিবার রাত ১০ টা নাগাদ ইকো পার্ক সার্ভিস রোডে প্রতিদিনের মতো প্যাট্রলিং চালাতে সাইকেলে করে চেনা পরিচিত রাস্তাতেই টহল দিচ্ছিলেন ইকো পার্ক থানার কনস্টেবল জ্যোতিষ দেবনাথ। আচমকাই বেপরোয়া গতির একটি গাড়ি ইকো পার্কের ২ নম্বর গেটের কাছে সার্ভিস লেনে এসে সজোরে তাঁকে ধাক্কা মারে। মুহূর্তের মধ্যেই রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে যান তিনি। এছাড়াও তাঁর সঙ্গে গতকাল রাতে এক সিভিক ভলেন্টিয়ারও ছিলেন। গাড়িটি তাঁকেও মারে। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয়রা জড়ো হয়ে তাঁদেরকে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু সেখানেই মৃত্যু হয় পুলিশ কনস্টেবলের। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। অন্যদিকে মাথায় চোট পেয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন অন্য আরেক সিভিক ভলেন্টিয়ার।
আহত বাইক আরোহীও
গতকাল রাতেই ইকো পার্কের ২ নম্বর গেটের কাছে সার্ভিস লেনে উদ্ধার করা হয়েছে দুর্ঘটনাগ্রস্ত দু’টি সাইকেল এবং একটি বাইক। দুর্ঘটনাস্থলটি চারিদিক থেকে ঘিরে রেখেছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই ঘাতক গাড়িটির সন্ধান পেতে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, একটি বাইকেও বেপরোয়া গতিতে আসা ওই গাড়িটি ধাক্কা মারে। আহত অবস্থায় তাঁকেও হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধাক্কা মেরে গাড়িটি চিনার পার্কের দিকে পালিয়ে গিয়েছে। সামনে দুর্গাপুজো, তার আগে এমন মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা শুধু তাই নয়, শহরের নিরাপত্তাপ্রদানকারীদেরও যদি নিরাপত্তা না থাকে, তাহলে তা বড় প্রশ্ন তুলে দেয়।
আরও পড়ুন: ১০ দিনের মাথায় দিল্লি থেকে গ্রেপ্তার মিনি ফিরোজ! বড় সাফল্য কলকাতা পুলিশের
প্রসঙ্গত, ইকো পার্কের ২ নম্বর গেটের কাছে এই সার্ভিস রোড দিয়ে সেভাবে গাড়ি চলাচল করে না। এমনকি পুলিশের গার্ডরেলও থাকে এই রাস্তায়। সেখানেই কার্যত সেইসব গার্ডরেলকে উপেক্ষা করে পেট্রলিংরত এক কনস্টেবলের সাইকেলে সজোরে ধাক্কা মেরেছে ওই গাড়িটি। তাই সেক্ষেত্রে বলা যায় কোনো কাজেই আসছে না রাজ্য সরকারের সেফ ড্রাইভ সেভ লাইভের বিজ্ঞাপন। দিনের পর দিন রাতের শহর যেন সকলের কাছেই বিপদজনক হয়ে উঠছে। তাইতো প্রতি বছরই লাফিয়ে বাড়ছে দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা।