প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ভয়ানক পরিণতি! মত্ত অবস্থায় স্বামীকে ছুরি মেরে হত্যা করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল স্ত্রীকে! ভয়ংকর তাদের সাত বছরের এক কন্যা সন্তান আছে। নেশাগ্রস্ত অবস্থায় এমন ভয়ানক কান্ড ঘটে গেছে বলে প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান। ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) মিহিজাম থানা এলাকার ব্লকে। ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে স্ত্রীকে।
ঠিক কী ঘটেছিল?
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে গতকাল অর্থাৎ রবিবার, ঝাড়খণ্ডের মিহিজাম কুর্মিপাড়া পাইপ লাইন এলাকায় সন্ধে সাতটা নাগাদ এক ভয়ংকর কাণ্ড ঘটে যায়। নেশাগ্রস্ত অবস্থায় স্বামীকে ছুরি মেরে হত্যা করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল স্ত্রীকে। মৃতের নাম মহাবীর যাদব, তাঁর বয়স ৩৫। এদিকে এই হত্যাকাণ্ডের দায়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে মহাবীরের স্ত্রী কাজলকে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে মহাবীর নিজেরই ট্রাক চালাতেন। গতকাল সন্ধ্যায় ট্রাকটিকে বেসিক স্কুলের পাশে রেখে কুর্মি পাড়ার ভাড়াবাড়িতে যান তিনি। এদিন নাকি মহাবীরের দাদা অবধেশ যাদবও এখানে আসেন। বাড়িতে পৌঁছানোর পর মহাবীর তার দাদা ও স্ত্রীর সাথে বসে মদ্যপান করেন।
উদ্ধার হয় রক্তে ভেজা জামাকাপড় এবং ছুরি
গতকাল সন্ধ্যায় কুর্মি পাড়ার ভাড়াবাড়িতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা মদের আসর বেশ জাঁকিয়ে বসেছিল। শেষে মত্ত অবস্থায় অবধেশ ঘরের মধ্যেই শুয়ে পড়েন। এবং মহাবীর ও তাঁর স্ত্রী কাজল ঘরের বাইরে বেরিয়ে কোন একটি বিষয় নিয়ে ঝগড়া করেন। আচমকা রাগ সামলাতে না পেরে নেশার ঘোরে স্ত্রী কাজল একটি ছুরি দিয়ে মহাবীরকে আক্রমণ করে। শেষে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বছর ৩৫-এর যুবকের। এদিকে তাদের সাত বছরের এক কন্যা সন্তান আছে। নেশাগ্রস্ত অবস্থায় এমন ভয়ানক কাণ্ড ঘটে যাওয়ায় চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এলাকা জুড়ে। সঙ্গে সঙ্গে মিহিজাম থানার পুলিশকে খবর দেওয়া হলে, সেখানে পৌঁছায় তাঁরা এবং শুরু হয় তদন্ত। ঘটনাস্থল থেকে রক্তে ভেজা জামাকাপড় এবং রক্তাক্ত ছুরিটি উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: উচ্চ মাধ্যমিকের জীববিদ্যা পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে ভুল! নম্বর মিলবে? জানাল সংসদ
মৃত মহাবীরের বাবা রামসুবোধ যাদব বৌমার এই কীর্তি দেখে জানিয়েছেন যে, ১৪ বছর আগে এক প্রকার জোর করেই থানাতেই এদের বিয়ে হয়েছিল। শুধু তাই নয়, বছর চারেক আগে নাকি নেশার ঘোরে কাজল শ্বশুরের বাঁ চোখ ঝাঁটার কাঠি দিয়ে নষ্ট করে দিয়েছিল। তার ছেলে এবং বৌমার মধ্যে ঝগড়া লাগলেও দুজনে একসঙ্গে খুবই মদ্যপান করতো। অন্যদিকে একই কথা শোনা যায় কাজলের বাবা। সুরজ ওরফে পাপ্পু সাউয়ের মুখে। তিনি বলেন মদ্যপান না করার জন্য দুজনকেই অনেকবার বলা হলেও তারা কর্ণপাত করেনি, আজ এই ভয়ানক কান্ড ঘটে গেল। তবে এই ঘটনায় স্ত্রী কাজল ছাড়াও দাদা অবধেশ জড়িত আছে কিনা তা নিয়ে জোর কদমে চলছে তদন্ত।