বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: গত জুনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাইপ্রাস সফরের পরই তুরস্কের শত্রু দেশটির সাথে ক্রমশ ঘনিষ্ঠতা বেড়েছে ভারতের। উভয় দেশই একে অপরের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বাড়াতে মুখিয়ে রয়েছে। Hans India এর রিপোর্ট বলছে, সাইপ্রাসের সাথে নিরাপত্তা সহযোগিতা বৃদ্ধিতে ইতিমধ্যেই বড় পদক্ষেপ নিয়ে ফেলেছে ভারত। গতকাল অর্থাৎ রবিবার ভারতীয় নৌবাহিনীর অন্যতম উন্নত স্টিলথ ফ্রিগেট ইন্ডিয়ান নেভাল শিপ ত্রিকান্দ ভূমধ্যসাগরীয় জাতির লিমাসল বন্দরে পৌঁছেছে (INS Trikand In Cyprus)। যা দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতার উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ।
চিন্তা বেড়েছে তুরস্কের
গত মে মাসে, অপারেশন সিঁদুরের সময় পাকিস্থানকে বাঁচাতে ঢেলে উন্নত অস্ত্রশস্ত্রের পাশাপাশি অত্যাধুনিক ড্রোন সাপ্লাই করেছিল তুরস্ক। এ সেই তুরস্ক যাকে অপারেশন দোস্তের মাধ্যমে ভূমিকম্প থেকে বাঁচিয়েছিল ভারত। কিন্তু সেসব উপকার ভুলে গিয়ে বেইমানের আসল চেহারা দেখিয়েছিল রিচেপ এরদোয়ানের দেশ। এদিকে প্রতিবেশী সাইপ্রাসের সাথে তুর্কির শত্রুতা বহুদিনের। বিশেষ করে, 1974 সালের যুদ্ধের পর থেকেই দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক একেবারে তলানিতে ঠেকে যায়। সে বছরের যুদ্ধ সাইপ্রাসকে স্থায়ীভাবে দুটি ভাগে ভাগ করে দেয়। আর সেই থেকেই তুরস্ক এবং সাইপ্রাসের মধ্যে তৈরি হয় শত্রুতা।
বিশেষজ্ঞ মহলের দাবি, সাইপ্রাস ভারতের ঘনিষ্ঠ হতেই চাপ বেড়েছে তুরস্কের। একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাইপ্রাস সফর থেকেই তুর্কির কপালে চিন্তার ভাজ বাড়তে থাকে। এবার উপরি পাওনা হিসেবে ভারতীয় আইএনএস ত্রিকান্দ লিমাসল বন্দরে পৌঁছতেই কার্যত চিন্তায় ভেঙে পড়েছে শত্রু তুর্কি। বিশ্লেষকদের মতে, শত্রু দেশ সাইপ্রাসে ভারতের আনাগোনা বাড়ায় স্বাভাবিকভাবেই মাথা যন্ত্রণা বেড়েছে পাকিস্তান দরদী তুরস্কের। বিশেষ করে, ভারতের তরফে সাইপ্রাস প্রতিরক্ষা সহযোগিতা পাবে এ বিষয়টা একেবারেই মেনে নিতে পারছে না রিচেপের দেশ।
অবশ্যই পড়ুন: করতে পারেনি কেউ! শাহীনের প্রথম বল উড়িয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়লেন অভিষেক
প্রসঙ্গত, টাইমস অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, মূলত সাইপ্রাস নৌবাহিনীর সঙ্গে যৌথ নৌ সহযোগিতা মহড়ায় অংশ নিতেই অত্যাধুনিক আইএনএস ত্রিকান্দকে লিমাসল বন্দরে পাঠিয়েছে ভারতীয় নৌ বাহিনী। আপাতত যা খবর, গতকাল অর্থাৎ রবিবার থেকে 28 সেপ্টেম্বর পর্যন্ত 4 দিনের জন্য সাইপ্রাসেই থাকবে ভারতের আইএনএস ত্রিকান্দ। জানা যাচ্ছে, 28 সেপ্টেম্বর ভারত এবং সাইপ্রাস নৌবাহিনীর যৌথ পাসেক্স মহড়ায় অংশ নিয়ে তারপরেই দেশে ফিরে আসবে ভারতীয় যুদ্ধজাহাজটি।